অনলাইন ডেস্ক : মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশিক্ষণের বিষয়ে দেশের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান আকাশ ইন্সটিটিউট। এনইইটি ও জেইই ছাড়াও এর ফাউন্ডেশনেও সমানভাবে প্রশিক্ষণ দেয় সংস্থা। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে আকাশ নাম ভর্তির জন্য শিক্ষাগত বৃত্তির ঘোষণা করেছে।
মঙ্গলবার আকাশে’র শিলচর সেন্টারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসিএসটি ছাত্রদের ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করার কথা জানানো হয়। সংস্থার মেডিক্যাল অ্যাণ্ড ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার একাডেমিক হেড সৌরভ শুভম, আকাশ-এর শিলচর ব্রাঞ্চের প্রধান রশ্মি চন্দ্রা, সংস্থার একাডেমিক হেড (ফাউণ্ডেশন) দীপন মণ্ডলরা এদিন জানান, ছাত্রছাত্রীদের মেধা ও অন্যান্য বিষয়ে ওপর ৯০ শতাংশ পর্যন্ত স্কলারশিপ চালু করা হয়েছে। ক্লাস অস্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়নরত ছাত্রদের জন্যই আকাশ নিজেদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা সাজিয়েছে।
শহিদদের সন্তানদের জন্য একশ শতাংশ টিউশন ফি মুকুব করা হবে বলে জানান তাঁরা। এছাড়াও প্রতিরক্ষা কর্মী, নিরাপত্তা সংস্থা এবং সন্ত্রাস-জর্জর ব্যক্তিদের সন্তানদের জন্য ১০ শতাংশ বৃত্তির সুযোগ রয়েছে। তাঁরা আরও জানান, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পাক্ষিক পরীক্ষা, বছরে ১২-১৪ বার পরিচালিত হয়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে মেয়াদি পরীক্ষা (প্রতি ৪৫ দিনে), বছরে ৪-৬ বার পরিচালিত হয়। বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা স্কুল/বোর্ড পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে হয়।
অল ইন্ডিয়া আকাশ টেস্ট সিরিজ, যেখানে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এআইএটিএস ছাত্রদের সর্বভারতীয় স্তরে তাদের জ্ঞান এবং কর্মক্ষমতা পরীক্ষা করার সুযোগ দেয়। ফাইনাল টেস্ট সিরিজটি নিট/ জেইই NEET/JEE পরীক্ষার প্রস্তুতির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। সময়ে সময়ে অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করে পড়ুয়াদের নিয়ে পর্যালোচনাও করা হয়। আকাশ ভারতে দীর্ঘ ৩৫ বছর থেকে এবং শিলচরে ৮ বছর থেকে সেন্টার চালাচ্ছে। ডিজিটাল সিস্টেমেও ক্লাস চালু রয়েছে। গত বছরের সাফল্যের পরিসংখ্যান অনুসারে অসমে যারা মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তাদের মধ্যে আকশের সাফল্য ১৪ শতাংশ বলেও কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন।