অনলাইন ডেস্ক : শিলচর পুরনিগমের বিভিন্ন ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস সহ বুথ এলাকা নির্ধারণ ইত্যাদি ইস্যুতে বিভিন্ন মহল থেকে নানা অভিযোগ উঠেছে। শাসকদল বিজেপির অভ্যন্তরেও এ নিয়ে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে দলীয় স্তরে এসব খতিয়ে দেখার জন্য ৬ সদস্যের এক কমিটি গঠন করলেন বিজেপির জেলা সভাপতি বিমলেন্দু রায়।
৬ সদস্যের কমিটিতে আহবায়ক হিসেবে রয়েছেন গোপাল কান্তি রায়। বাকি ৫ সদস্য হলেন চামেলী পাল, রাজেশ কুমার দাস, অভ্রজিত চক্রবর্তী, গীতন নাথ ও সৌমিত্র কুমার দেব। জেলা সভাপতি এই কমিটি গঠন করে কমিটির সদস্যদের সংশ্লিষ্ট বিধায়ক ও মন্ডল সভাপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেবার নির্দেশ দিয়েছেন।
কমিটি গঠন করা হয়েছে গত ২৩ ডিসেম্বর। আগামীকাল ২৭ ডিসেম্বর কমিটির প্রথম বৈঠক আহবান করা হয়েছে।
জানা গেছে বিমলেন্দু রায় তার চিঠিতে ওয়ার্ড পুনর্ববিন্যাস, বুথ এলাকা নির্ধারণ সহ ভোটার তালিকা নিয়ে কারো কোনও ক্ষোভ থেকে থাকলে তা যাচাই করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন কমিটির সদস্যদের। যদিও পুরনিগমের ভোটার তালিকা এখনও প্রকাশিত হয়নি। দলের এক সূত্র জানান, ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে শীঘ্রই। তাই জেলা সভাপতি ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস ও বুথ এলাকা নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনও অসামঞ্জস্য থেকে থাকলে তা খতিয়ে দেখার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার তালিকা নিয়েও নির্দেশ জারি করেছেন। সূত্রটির কথায়, ভোটার তালিকা প্রকাশের পর এনিয়ে যদি কোনও অভিযোগ ওঠে তাও খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।
সবকিছু খতিয়ে দেখে কমিটি যে রিপোর্ট পেশ করবে এর ভিত্তিতে দল দাবি জানাবে সরকারের কাছে। এদিকে দলের অন্য এক সূত্র বলেন, ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস নিয়ে ইতোমধ্যে রাজ্যপালের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এরপর কমিটি কিছু সুপারিশ করলেও কতখানি রদবদল সম্ভব এনিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। যদিও উভয় সূত্রেরই বক্তব্য, ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস নিয়ে দলের অভ্যন্তরেই প্রচুর ক্ষোভ রয়েছে। বিশেষত পুনর্ববিন্যাসের সূত্র ধরে যেসব ওয়ার্ড সংরক্ষিত হয়েছে, ক্ষোভের মাত্রা সেসব ওয়ার্ডেই বেশি। তাই শেষ পর্যন্ত রদবদল নিয়ে সন্দেহ থাকার পরও দলীয় ক্ষোভের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এই কমিটি গড়তে বাধ্য হয়েছেন বিমলেন্দু বাবু। যাতে করে শেষ পর্যন্ত বদল বা পরিবর্তন সম্ভব না হলেও অন্তত ক্ষুব্ধ দলীয় কর্মীদের তিনি বলতে পারবেন, দলের পক্ষে একটা চেষ্টা তো করা হয়েছে। এবার কমিটি রিপোর্ট পেশ করার পর, ব্যাপারটা কতদূর এগোয়, দেখার বিষয় তা-ই ।