অনলাইন ডেস্ক : সদস্যভুক্তি অভিযানের পর সাংগঠনিক বিভিন্ন স্তরে পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বিজেপিতে। এই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবে দলের কাছাড় জেলা কমিটির সভাপতি চয়নের জন্য বুধবার শিলচরে আগ্রহী দলের ৬ কর্মকর্তার “ইন্টারভিউ” নিলেন মন্ত্রী পীযুষ হাজরিকা।
সম্পূর্ণ সাংগঠনিক কাজে বরাক উপত্যকা সফরে এসে মন্ত্রী হাজরিকা মঙ্গলবার দলের হাইলাকান্দি ও শ্রীভূমি জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন। বুধবার ফিরে যাবার আগে তিনি শিলচরে দলীয় কার্যালয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। কার্যালয়ের দ্বিতলে সভাকক্ষে প্রথমত তিনি দলীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে
খোলাখুলি কিছুক্ষন কথাবার্তা বলেন। এরপর সভাকক্ষের গায়ে লেগে থাকা ছোট কক্ষে পৃথক পৃথকভাবে “ইন্টারভিউ” নেন জেলা সভাপতি পদের জন্য আগ্রহী দলের ছয় কর্মকর্তার।
জানা গেছে, এদিন সভাকক্ষে প্রাথমিকভাবে আলোচনার সময়, কারা কারা জেলা সভাপতি পদের জন্য আগ্রহী মন্ত্রী তা জানতে চাইলে হাত উঠিয়ে সায় দেন রূপম সাহা,অমিয়কান্তি দাস, রাজেশ দাস, মঞ্জুল দেব, কঙ্কন নারায়ণ শিকদার ও জয়জ্যোতি দে-এই ৬ জন। ৬ জন আগ্রহ ব্যক্ত করার পর মন্ত্রী লাগোয়া কক্ষে গিয়ে এক এক করে তাদের ডেকে “ইন্টারভিউ” নেন। “ইন্টারভিউ”র সময়কালে পীযূষ হাজরিকার সঙ্গে আগাগোড়া ছিলেন দলের “ডিস্ট্রিক্ট রিটার্নিং অফিসার” হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হাইলাকান্দির প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুব্রত নাথও। সঙ্গে ছিলেন অন্য মন্ত্রী কৌশিক রায়ও । তবে কিছুক্ষণ তিনি সেখানে থাকার পর বাইরে বেরিয়ে আসেন।
মন্ত্রী হাজরিকা এদিন জেলার ২৩ টি মন্ডলের সভাপতি চয়ণের জন্য মন্ডল স্তরের রিটার্নিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মতামত নেন বলেও জানা গেছে। দলীয় এক সূত্র জানান, বয়সজনিত গেরো ও লাগাতার দুবার এই পদে থাকার দরুন এবার ২৩টি মন্ডলের সভাপতিদের মধ্যে অধিকাংশেরই বদলি হওয়ার সম্ভাবনা।
মন্ত্রী এদিন দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন সকাল সাড়ে আটটা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময়। কার্যালয়ে ছেড়ে যাবার আগে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, শুধু কাছাড়ই নয় এর আগে মঙ্গলবার হাইলাকান্দি এবং শ্রীভূমি জেলায়ও দলের জেলা সভাপতি এবং মন্ডল সভাপতি পদে চয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দলীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই তিন জেলায় সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তিনি যা আঁচ পেয়েছেন গুয়াহাটিতে ফিরে এনিয়ে রিপোর্ট পেশ করবেন দলের রাজ্য সভাপতি ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এরপর রাজ্য সভাপতি ও মুখ্যমন্ত্রী জেলা সভাপতি ও মন্ডল সভাপতি পদে কারা বসবেন তারা চূড়ান্ত করবেন তা। এদিকে দলীয় এক বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, মন্ডল সভাপতি চয়ন পর্ব আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই হয়ে যাওয়ার কথা। আর জেলা সভাপতি পদে কে বসছেন, তাও চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার কথা এমাসের মধ্যেই।