অনলাইন ডেস্ক : গোষ্টী সংঘর্ষে জর্জরিত জিরিবামে অশান্তি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার বিকেল চারটা নাগাদ জাইরন ভিলেজে শুরু হয় গুলিযুদ্ধ।চরম অশান্তির মধ্যে রয়েছেন জিরিবামের সাধারণ মানুষ। অতিরিক্তভাবে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হলেও অশান্তি কাটছে না মনিপুরের জিরিবাম জেলায়।অব্যাহত রয়েছে হিংসাত্মক ঘটনা l গত সোমবার জাকুড়াডহর সংঘর্ষ স্হল থেকে অপহৃত তিনজন মহিলা ও তিন শিশু এখনও সন্ধানহীন।কুকি দূস্কৃতিকারী দল এদেরকে অপহরণ নিয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।তিন মহিলা, তিন শিশু মিলে ছয়জন জীবিত না মৃত সেই তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না।এই ঘটনা নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ মৈতৈ সম্প্রদায়ের জনগণ।তাদের কে জীবিত উদ্ধার করতে মনিপুর সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।
একইসঙ্গে হিংসার আগুনে জ্বলে উঠা জাকুড়াডহর থেকে শিশু সহ ছয় মহিলাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন মৈতৈ সম্প্রদায়ের জনগণ।অপহরণের প্রতিবাদে ও এদেরকে উদ্ধারের দাবিতে আজ বুধবার জিরিবামে বনধ পালিত হয়।হাটবাজার, যানবাহন বন্ধ রেখে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেন জিরিবামের জনগণ l তাদেরকে উদ্ধারের দাবিতে মনিপুর থেকে দিল্লি পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে lঅন্যদিকে আজ বুধবার সকালে জিরিবাম-ইম্ফল ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের কাইপুদাই নামক স্হানে এক পন্যবাহী লরিতে অগ্নিসংযোগ করে দূস্কৃতিকারীরা l পণ্যবাহী লরিতে অগ্নিসংযোগ করে পুরো জ্বালিয়ে দিয়েছে সন্দেহভাজন কুকি দুষ্কৃতীকারী দল l গত সোমবার জিরিবামের জাকুড়াডহরে কেন্দ্রীয় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ১২ জন কুকি বন্দুকধারীর মৃতদেহ শিলচর মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের পর মিজোরাম হয়ে মনিপুরের চুড়াচান্দপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। গোষ্টী সংঘর্ষে উত্তপ্ত জিরিবামে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হলেও পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছেনা।এখনও বিক্ষিপ্তভাবে জিরিবামের জঙ্গলে সক্রিয় রয়েছে বন্দুকধারীরা। কেননা মঙ্গলবার রাতের পর আজ বুধবার বিকেলে আবারও জাইরন ভিলেজ এলাকায় গুলিবর্ষণ অব্যাহত ছিল। জিরিবামে গোষ্টী সংঘর্ষের প্রভাব যেন অসমের সীমান্ত পেরিয়ে জিরিঘাট হয়ে কাছাড় জেলায় প্রভাবিত না হয় সেদিকে কড়া নজরদারি রয়েছে বলে আজ সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন কাছাড়ের পুলিশ সুপার নোমাল মহাতো। সীমান্তের বরাক নদী, জিরি নদী ও প্রত্যন্ত অন্ঝলে পুলিশ ও কমান্ডো বাহিনীর টহলদারি অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে কোন দূস্কৃতিকারী কাছাড়ে প্রবেশ করে অশান্তি সৃষ্টি করতে এই লক্ষ্য নিয়ে পুলিশ কড়া পদক্ষেপ নিয়ে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।