অনলাইন ডেস্ক : অসমের পূর্ত বিভাগের হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানালেন বরাক উপত্যকার বিভাগীয় অতিরিক্ত মুখ্য বাস্তুকার অজিত সিনার। রবিবার পূর্ত শ্রমিক সংঘের কাছাড় জেলা সমিতির অষ্টম বার্ষিক অধিবেশনের প্রকাশ্য সভায় মুখ্য বক্তা হিসেবে ভাষণে তিনি এই আর্জি জানিয়েছেন। শিলচরের পিডব্ল্যুডি রেস্ট হাউসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিনার আরও বলেন, পূর্ত বিভাগের দায়িত্ব অনেক বেশি। বিভিন্ন সময় কর্মচারীরা নিজেদের দায়িত্ব পালনে অসুবিধার সম্মুখীন হন। যার সুযোগ নিয়ে সাধারণ মানুষ সমাজ মাধ্যমে বিভিন্ন সমালোচনা করেন। এসব বিভিন্ন কারণে পূর্ত বিভাগের সুনাম অনেকাংশে বিনষ্ট হচ্ছে। তাই বিভাগীয় শ্রমিক-কর্মচারীদের নিজেদের কাজে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। এক্ষেত্রে শ্রমিক সংঘও অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এদিনের প্রকাশ্য অধিবেশনে অজিত সিনার ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় অধিক্ষক বাস্তুকার অজিত দাস, হিসেব আধিকারিক রণেন্দু লস্কর, শিলচর জেলা কর্মচারী পরিষদের কর্মকর্তা পান্না পাল, সিবলি মজুমদার প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন পরিষদের কর্মকর্তা পঙ্কজ ভট্টাচার্য, শিলচর জেলা বিজেপি সভাপতি বিমলেন্দু রায়, প্রাক্তন বাস্তুকার পিনাকপানি নাথ প্রমুখ।
সারা অসম কর্মচারী পরিষদের অধীনস্থ পূর্ত শ্রমিক সংঘের দ্বিবার্ষিক এই অধিবেশন শনিবার অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে সংস্থার পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সূচনা হয়। পরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন বিশিষ্ট অতিথিরা। প্রথম দিনে সংঘের বিগত কার্যকালের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তারপর আগামী দু’বছরের জন্য নতুন কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়। নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে ফের মনোনীত হয়েছেন দেবজিত দেবরায়। উপ সভাপতি হয়েছেন অর্ণব পাল, দেবাশিস ভট্টাচার্য, বিকাশ দাস, নিলুফা সুলতানা মজুমদার, সমীর রায়, অজিত দাস প্রমুখ। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মিশ্রিলাল কাহার। যুগ্ম সম্পাদক মনোনীত হন দোলন আহমেদ মজুমদার, চন্দনা ভট্টাচার্য, গণেন্দ্র পুরকায়স্থ, মিসবা উদ্দিন লস্কর, এস বর্মণ প্রমুখ। সাংগঠনিক সম্পাদক হন রুস্তম আলি, দিলিপ রায়, সঞ্জয় নাথ, হোসেন লস্কর, সত্যব্রত দে, আব্দুল মালিক বড়লস্কর প্রমুখ। কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন শান্তনা দে। নয়া কমিটির আইনি উপদেষ্টা হলেন জ্যোতিপ্রকাশ ভট্টাচার্য। এছাড়া গণমাধ্যম উপদেষ্টা হয়েছেন চয়ন ভট্টাচার্য, উত্তমকুমার সী এবং নীলকমল দাস। এদিন মোট ৫১ জনের কমিটি গঠন করা হয়।
অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে রবিবার সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভাগীয় শ্রমিক-কর্মচারীদের সমস্যা সহ ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এদিন বিকেলে প্রকাশ্য সভায় বিভাগীয় কর্মকর্তা সহ অতিথিদের সম্মাননা প্রদান করেন শ্রমিক সংঘের কর্মকর্তারা। পরে নবগঠিত কমিটির সদস্যরা উপস্থিত অতিথিদের সামনে শপথ নেন।