অনলাইন ডেস্ক : ৫৬ বছরে পা দিয়েছে তারাপুরের প্রথমপল্লী ক্লাবের দুর্গাপুজো। এবার মন্ডপ গড়ে তোলা হবে দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরের আদলে। এছাড়া আলোকসজ্জায় থাকছে বিশেষ চমক। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করে ক্লাবের সদস্যরা এবছরের পূজোর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পুজো কমিটির সভাপতি গোপেন্দ্র চৌধুরী, সম্পাদক সুদীপ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। তারা জানান এবার ৫৬তম পুজো আয়োজন করছে ক্লাব এবং এ উপলক্ষে বিশেষ কিছু চমক থাকছে। তারা বলেন, ‘দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে গোটা মন্ডপ গড়ে তোলা হবে। শুধুমাত্র বাইরের নয় মন্ডপের ভেতর থাকবে আসল দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে। সেখানে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীমা সারদা দেবী, স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি থাকবে। দক্ষিণেশ্বরের আসল মন্দিরে যেখানে মা কালীর মূর্তি রয়েছে, সেখানে বোঝানো হবে মা দুর্গার মূর্তি। মন্ডপের সামনে যে গেট থাকবে সেটাও দক্ষিণেশ্বরের মূল গেটের মতো দেখতে হবে। এছাড়া আলোকসজ্জায় থাকবে দক্ষিণেশ্বরের ছোঁয়া। এবার আলোকসজ্জায় বিশেষ চমক থাকছে। মন্ডপের ওপর যে আলো পড়বে, সেটা পরিবর্তন হতে থাকবে। মূল গেটের ওপর যে লাইট পড়বে সেখানে দক্ষিণেশ্বরের মা কালীর মুখ দেখা যাবে। এছাড়া আরও চমক থাকবে যা দর্শকদের আকর্ষণ করতে সমর্থ হবে।’
তারা জানান মূর্তি বানাচ্ছেন করিমগঞ্জের স্বপন পাল। মূর্তির আদল আধুনিক হলেও এতে থাকবে আভিজাত্যের ছোঁয়া। তারা বলেন, ‘আজ পর্যন্ত শিলচরে এমন মূর্তি কখনো হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। তবে এখনই গোটা বিষয় জনসমক্ষে তুলে ধরা হচ্ছে না। দর্শকরা এসে সেই চমক নিজের চোখে দেখবেন।’ তারা জানান, মহাপঞ্চমীর সন্ধ্যায় পুজো উদ্বোধন হবে। শিলচর রামকৃষ্ণ মঠে মহারাজ গনধীশানন্দ জি’র হাত ধরে উদ্বোধন হবে পুজো। তিন দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীতে ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ করা হবে। সপ্তমীতে সাতটি ব্যঞ্জন, অষ্টমীতে আটটি ব্যঞ্জন এবং নবমীতে নয়টি ব্যঞ্জন এর মাধ্যমে প্রসাদ খাওয়ানো হবে। এক্ষেত্রে থাকছে অবাধ বিচরণ।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৌমিত্র নাথ, লিটন চক্রবর্তী, অনিমেষ সেনগুপ্ত, কালীপদ চক্রবর্তী, স্বপন রায়, সুজিত কুমার দেব, দুলাল চন্দ্র দেব, বিপুল মজুমদার সহ অন্যান্যরা।