অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশে ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ হতে পারে। সরকার প্রধান হিসাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চূড়ান্ত। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সমন্বয়কের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ড. ইউনূস বর্তমানে ফ্রান্সে অবস্থান রয়েছেন। আজ বুধবার রাত বা বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছাবেন। তারপরই সরকার গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনী প্রধানের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ছাত্র সমন্বয়কদের ফলপ্রসু বৈঠক হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে রাত ১২টার পর ভঙ্গভবন থেকে বেড়িয়ে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নাহিদ।
তিনি জানান, ছাত্র ও নাগরিক অভ্যুত্থানকারীদের তরফে যে সরকারের প্রস্তাব করা হবে, সেই প্রস্তাবিত সরকারই চূড়ান্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হবে সেই নিশ্চয়তা বঙ্গভবন থেকে তারা পেয়েছেন। সমন্বয়কবৃন্দ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সম্মানিত শিক্ষক অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান বঙ্গভবনে ছিলেন। নাহিদ জানান, রাষ্ট্রপতি অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-নাগরিকদের সম্মান জানিয়েছেন। পাশাপাশি দেশে যে অরাজক পরিস্থিত চলছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাবো, অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার প্রস্তাবকারী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘোষণা করা হবে। এ সময় নাহিদ বলেন, আমরা দেখেছি, বিভিন্নভাবে নাশকতা করা হচ্ছে, পরিকল্পতিভাবে হামলা করে এই আন্দোলনকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সবার প্রতি আহ্বান থাকবে এই ধরনের হামলা, লুটপাট বন্ধের। তারা এসব রুখে দেবেন এবং সংবাদকর্মীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। আপনারা থানাগুলোকেও প্রয়োজনে পাহারা দেবেন। যারা গণহত্যায় জড়িত ছিলো, দুর্নীতিতে জড়িত ছিলো তাদের আইনি প্রক্রিয়ায় আনা হবে। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে না নিতেও আহ্বান জানান এবং বলেন, আমরা প্রতিহিংসা রক্তপাত চাই না। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ চাই।