অনলাইন ডেস্ক : জল নিষ্কাশনি ব্যবস্থাকে ঘিরে শহরের বিবেকানন্দ রোডে কিছুদিন ধরেই দুপক্ষের মধ্যে চলছে চাপান উতোর। এসবের মাঝে বৃহস্পতিবার এলাকার ২৪ নম্বর গলির বাসিন্দা মহিলাদের তোপের মুখে পড়তে হয় বিতর্কিত শঙ্কু দেব ও তার সঙ্গীদের। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী শঙ্কুকে উত্তেজিত মহিলারা তাড়াও করেন ।
বিবেকানন্দ রোডে মূল শহরের দিকের অংশ পড়েছে পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে। অপর পাশ অর্থাৎ মালিনী বিলের দিকের অংশ পড়েছে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের দিকের জল ২৬ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ মালিনীবিলের দিকের ২৪ নম্বর গলি হয়ে নিষ্কাশন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকার পরিস্থিতি সরগরম। শঙ্কু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে
অনৈতিকভাবে ২৪ নম্বর গলির নালা দিয়ে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে ওই গলির বাসিন্দাদের। তাদের অভিযোগ, এত জল গলির ছোট নালা দিয়ে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করায় বৃষ্টি হলেই পুরো গলির ঘরবাড়ি ডুবে যায়। এতে দুর্ভোগের সীমা থাকে না তাদের। আর এতে আপত্তি করলে শঙ্কু নানাভাবে হুমকি দিয়ে তাদের দমিয়ে দিতে চান। ২৪ নম্বর গলির বাসিন্দাদের অভিযোগ, শঙ্কু নিজের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের লোক, তার নিজের সমস্যা মেটাতে তিনি অনৈতিকভাবে তাদের ঠেলে দিয়েছেন দুর্ভোগের মুখে।
এদিন বিকেলে পুরসভা এবং পূর্তবিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে ব্যাপারটা পরিদর্শনে যান। সে সময় তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে দেখা যায় শঙ্কু এবং তার কয়েকজন সঙ্গীকেও। কথাবার্তা চলতে থাকার সময় ২৪ নম্বর গলি ও তস্য গলির বাসিন্দা লোকেরা এগিয়ে এসে তাদের গলি দিয়ে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের জল নিষ্কাশনি ব্যবস্থা নিয়ে আপত্তি জানান। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন মহিলা।এতে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন,একসময় মহিলারা উত্তেজিত হয়ে শঙ্কুকে গালিগালাজ করে তাড়া করেন। এতে আলোচনা আর বিশেষ আগ বাড়েনি।
এদিকে শঙ্কুকে জিজ্ঞেস করলে তিনি অবশ্য তাকে তাড়া করার কথা অস্বীকার করেন। তার কথায়, পুরসভা এবং পূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের পরিদর্শনের সময় ২৪ নম্বর গলির বাসিন্দাদের সঙ্গে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু লোকের কথা কাটাকাটি হয়। তখন তিনি বুঝিয়ে শুনিয়ে তাদের নিরস্ত করেন। আর পরিস্থিতি দেখে পুরসভা এবং পূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা সরে যান। শঙ্কু ২৪ নম্বর গলির বাসিন্দাদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ওই গলি দিয়ে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে পুরসভা। কিন্তু গলির কিছু বাসিন্দা অনৈতিকভাবে ব্যাপারটায় বাধা আরোপ করছেন। যদিও গলির বাসিন্দাদের দাবি, এমন কোনও পরিকল্পনা কখনোই অনুমোদন করা হয়নি। শঙ্কু নিজের বাড়ির দিকের জমা জলের সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এই কাজ করিয়ে নিতে চাইছেন।
সব মিলিয়ে বর্তমানে পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে এতেএই নিষ্কাশনী ব্যবস্থা গড়ে তোলাকে ঘিরে বিবেকানন্দ রোডে আরও অনেক জল গড়াবে বলে মনে হচ্ছে।