অনলাইন ডেস্ক : তপবননগর এলাকায় “রুবি ওয়াইন সোপ”-নামে মদের দোকানের মালিক সুকান্ত কর ওরফে বাপিকে মারপিটের ঘটনায় অভিযুক্ত বরাক উপত্যকা কৈবর্ত সমাজ উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি সুজিত দাস চৌধুরী এখনও পলাতক। গ্রেফতারি এড়াতে সুজিত আত্মগোপন করে থাকলেও পুলিশ বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে তার তিন সাগরেদ পীযূষ পাল (৩৮), নিতাই দাস (৪১) ও সুশান্ত রায় (৩৬)কে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এদিন ভোরের দিকে এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এ পর্যন্ত সুজিতের সন্ধান মেলেনি। সূত্রটি জানান, মারপিটের ঘটনায় সুজিত সহ অন্য যে কজন এখনও পালিয়ে রয়েছেন, তাদের খুঁজে বের করতে সম্ভাব্য বিভিন্ন এলাকায় জোর তল্লাশি চলছে।
এদিকে পীযূষ , নিতাই ও সুশান্ত গ্রেফতার হলেও সুজিত এপর্যন্ত ধরা না পড়ায় বিভিন্ন মহল থেকে এনিয়ে নানা প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে। ওইসব মহলের বক্তব্য এটা আসলে সুজিতের ই একটা কৌশলী চাল। তিন সাগরেদকে পুলিশের সামনে ঠেলে দিয়েছেন তিনি নিজেই, যাতে করে পুলিশ সহজে এই তিনজনকে গ্রেফতার করতে পারে। আর তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এটা ভেবে ঘটনাকে ঘিরে যারা সরব হয়েছেন তারা মানসিক তুষ্টি নিয়ে চুপ হয়ে যান। এবং শেষপর্যন্ত চাপ কমে যাওয়ায় রক্ষা পেয়ে যান তিনি নিজে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনওভাবেই সুজিত পার পেয়ে যাবেন না। তাকে গ্রেফতারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পীযূষ, নিতাই ও সুশান্তকে গ্রেফতারের পর এদিনই পুলিশ আদালতে পেশ করে। আদালতের নির্দেশে তিনজনকে প্রেরণ করা হয়েছে হাজতে।
পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করলেও ঘটনা নিয়ে জনমানসে ক্ষোভ এখনো প্রশমিত হয়নি। সুকান্ত করের উপর হামলার প্রতিবাদে আগামী ১ জুন শনিবার বিবেকানন্দ রোডের শ্রীমা ভবনে এক নাগরিক সভা আহ্বান করা হয়েছে। প্রসঙ্গত সুকান্ত কর বিবেকানন্দ রোডের ২৯ নম্বর গলির বাসিন্দা। নাগরিক সভা আহবান করেছে বিবেকানন্দ রোড নাগরিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে নাগরিক সভায় সবার উপস্থিতি কামনা করে বলা হয়েছে, এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা না হলে ভবিষ্যতে অন্য যে কারো সাথে এর পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।