অনলাইন ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার প্রচারের শেষ দিকে তৃণমূলের পালে হাওয়া তুলে মঙ্গলবার তাছাড়া বেশকিছু সভা করলেন স্টার প্রচারক সায়নী ঘোষ এবং সাগরিকা ঘোষ। সায়নী দলের অত্যন্ত পরিচিত যুবনেতা এবং সাগরিকা দেশের প্রথম সারির সাংবাদিক রাজদীপ সারদেশাইয়ের স্ত্রী তথা রাজ্যসভা সাংসদ। সাগরিকা নিজেও ৩২ বছর ধরে সাংবাদিকতা করেছেন এবং এবছর তৃণমূলে যোগ দিয়ে সাংসদ হয়েছেন। তাদের সঙ্গে এদিন প্রচারে অংশ নেন শিলচরের প্রার্থী তাদের সব বিশ্বাস এবং রাজ্যসভায় সাংসদ সুস্মিতা দেব। এদিন সন্ধ্যায় শিলচরের পাবলিক স্কুল রোড সংলগ্ন লক্ষ্মীনারায়ণ বিবাহ বাসর প্রাঙ্গনে তৃণমূলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সায়নী ঘোষ বলেন, ‘বিজেপি মূলত বাঙালি বিদ্বেষী দল, তারা ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের ১৮ টি লোকসভা আসনের জয়ী হয়েছিল তবে আজ মোদির মন্ত্রিসভায় একজন বাঙালি নেই। তারা একটা ভাষাকে গোটা দেশের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছে, বাংলার ভাষা সংস্কৃতি এবং বাঙ্গালীদের তারা সহ্য করতে পারে না। তবে আমরা পশ্চিমবঙ্গের তাদের ঢুকতে দিইনি, আমরা খাল কেটে কুমির আনিনি, মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে এবার আমরা পুনরায় কাজটি করব।’ সম্প্রতি শিলচরে এক সভায় অংশ নিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, অসমের হিন্দু এবং মুসলমান বাঙালিরা যদি বিদ্বেষ মিটিয়ে হন তাহলে তাদের সংখ্যা হবে ৭০ শতাংশ, অর্থাৎ তারা অসমে ক্ষমতার শীর্ষে থাকবেন। একই সুরে মঙ্গলবার সায়নী বলেন, ‘আমরা এবার নরেন্দ্র মোদিকে বুঝিয়ে দেবো বিজেপির জমানত কিভাবে জব্দ করতে হয়। আমি জানি অসমের লোকেরাও এটা পারবেন তাই আমরা আপনাদের কাছে ভোট ভিক্ষে করতে এসেছি।’
তিনি বলেন নরেন্দ্র মোদি একদিকে পেট্রোল-ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম যাচ্ছেতাইভাবে বাড়িয়ে যাচ্ছেন আর অন্যদিকে কিছু লোককে বিনা পয়সায় খাবার দিচ্ছেন। এটা যেমন, একজন লোক আপনার কাপড়চোপড় খুলে নিয়ে গেল এবং আপনাকে গামছা দিয়ে বলল এই দেখ তোকে দিয়েছি। তিনি পশ্চিমবঙ্গে এসে বলেছিলেন আপকি বার ২০০ পার, এরপর ২০০ পার হয়েছে তবে সেটা পেট্রোলের দামের। তিনি জনগণকে ঠিকই বলেছিলে, জনগণ তাকে ভুল বুঝেছিল। গণতন্ত্রের জনগণ বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন তারা পাল্টে দিতে জানেন এবং এবার মোদির সময় পাল্টে যাবে, এটাই গণতন্ত্রের ক্ষমতা।’