অনলাইন ডেস্ক : কার্বি আংলংয়ের পিণি, মনিপুরের চাদর, মিজোরামের পালক বসানো টুপি এবং অসমীয়া গয়না, সঙ্গে অসমের ঐতিহ্যবাহী ঝাঁপি, এসব একসঙ্গে করে এক অনন্য সুন্দর ন্যাশনাল কস্টিউম নিয়ে আন্তর্জাতিক সুন্দরীর প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন শিলচরের চিকিৎসক দেবস্মিতা নাথ। ২০ এপ্রিল ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয়েছিল মিসেস ইণ্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল, যেখানে সারা পৃথিবীর প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে সুন্দরীরা অংশ নেন। সেই প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ করেছেন দেবস্মিতা। সঙ্গে তিনি তিনটি সাবটাইটেল পেয়ে রেকর্ড গড়েন।
প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হওয়ার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তার সাবটাইটেল, যেখানে রয়েছে সেরা জাতীয় পোশাক বা ন্যাশনাল কস্টিউম। দেবস্মিতার পোশাক ডিজাইন করেছেন শিলচরের বিশিষ্ট ফ্যাশন ডিজাইনার মাধুরী গুপ্ত। তিনি বলেন, ‘এত বড় প্রতিযোগিতায় জাতীয় পোশাক বানানো একটা বড় দায়িত্ব ছিল কারণ সেখানে গোটা দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে হবে। অনেক চিন্তার পর ঠিক প্রতিযোগিতার আগের রাতে আমার মনে হয় উত্তর-পূর্ব ভারতে যেসব পাহাড়ি সংস্কৃতি রয়েছে এর থেকে সুন্দর আর কি হতে পারে। আমাদের এই অঞ্চলের রাজ্যগুলোকে সাতটি বোন বলা হয়, অর্থাৎ আমরা আলাদা হলেও এক পরিবারের সদস্য। শুরু হয় আমার গবেষণা এবং একে একে মণিপুরী, অসমীয়া, মিজো, নাগা, অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী, প্রত্যেকের সংস্কৃতির কিছুটা অংশ নিয়ে সবগুলোকে একসঙ্গে মিলিয়ে একটা পোশাক তৈরি করি। দেবস্মিতার হাতে তুলে দেওয়া হয় আসামের ঐতিহ্য ঝাঁপি। যেহেতু ভারতের জাতীয় পাখি হচ্ছে ময়ূর, আমরা ময়ূর পুচ্ছ ব্যবহার করে তার পোশাকে পূর্ণতা আনি। প্রথম থেকেই মনে হয়েছিল এই পোশাক সকলের নজর কাড়বে, এমনটাই হয়েছে এবং দেবস্মিতা গোটা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীদের হারিয়ে সেরা জাতীয় পোশাকের শিরোপা পেয়েছে।’দেবস্মিতা জানান প্রথমে তিনি জাতীয়স্তরের প্রতিযোগিতায় জয়ী হন এবং তাকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে পাঠানো হয়। সেখানে ফাইনাল রাউন্ডে টানা তিনদিন ধরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা হয়, এর মধ্যে ছিল টেলেন্ট রাউণ্ড, প্রশ্ন-উত্তর প্রতিযোগিতা, নৃত্য পরিবেশন সহ অন্যান্য ইভেন্ট।