অনলাইন ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মাকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার মনোনয়ন দাখিল করলেন শিলচর লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী পরিমল শুক্লবৈদ্য। জেলা কমিশনারের কার্যালয়ে মনোনয়ন দাখিল করার পর পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে এক জনসমাগমে নিৰ্বাচনী ভাষণ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
দলীয় সমর্থক তথা উৎসুক জনতার উদ্দ্যেশ্যে প্রকাশ্য জনসভায় মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, ‘আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাংলাভাষীদের যাবতীয় সমস্যার সমাধান হবে। পরিমলদাদাকে আজ রিত্ত্বিক রিত্বিক লাগছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী রাজদীপ রায় ৮০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছিলেন। এর আগেও বিজেপি প্রার্থী অনেক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হওয়ার ইতিহাস আছে। এবার তিন লক্ষের বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবেন বিজেপি প্রার্থী পরিমল শুক্লবৈদ্য।’ দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে এই দাবি করেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
তিনি আরও বলেন, ‘অসম মন্ত্রিসভার দায়িত্বশীল ক্যাবিনেট মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের বলিষ্ঠ পদক্ষেপের দরুন, বিশেষ করে আবগারি ও পরিবহণ বিভাগে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব সংগৃহীত হয়েছে। গত পাঁচ মাসে কেবল সড়ক দুর্ঘটনার হার পঁচিশ শতাংশ কমেছে। পরিমল শুক্লবৈদ্যের নেতৃত্বে পরিবহণ, আবগারি, মৎস্য বিভাগ সহ বরাক উপত্যকার সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে।’ রাজদীপ রায়ের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে নো-কনফিডেন্স মোশনের সময় শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায় সংসদে সারগর্ভ বক্তব্য উপস্থাপন করে সমগ্র রাজ্যের সুনাম উজ্জল করতে যে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাতে অসমের নাগরিক হিসেবে গর্ববোধ করি। সংসদে দাঁড়িয়ে অসমবাসীর সম্মান ঊর্ধগামী করার জন্য সমগ্র অসমের বিজেপি কার্যকর্তার পক্ষে রাজদীপ রায়কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি।’
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডোরের কাজ সম্পন্ন করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে হাফলং লামডিং হয়ে বরাকে আসবেন। লোকসভা নির্বাচনের অব্যহতি পরই জেলা গ্রন্থাগারের কাজ সম্পন্ন করা হবে। ডলুতে বিমানবন্দর হবে। মানুষের মনে খুশি বজায় রেখে সব রকমের উন্নয়নমূলক কাজ আগ বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে বিজেপির শাসনকালে। হিন্দিভাষী, চা বাগান শ্রমিক, মণিপুরি সম্প্রদায় সহ প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীর সমউন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার। আগামী ছয়মাসের মধ্যে বাঙালি জনগোষ্ঠীর এনআরসি, ডি ভোটার, ভাষিক সমস্যা সহ যাবতীয় সমস্যার সমাধান করার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মনোনয়ন দাখিল এবং কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি ভবেশ কলিতা, জেলা বিজেপি সভাপতি বিমলেন্দু রায়, সাংসদ রাজদীপ রায়, সহ-প্রভারি পবন শর্মা, বিধায়ক কৌশিক রাই, মিহিরকান্তি সোম, দীপায়ন চক্রবর্তী প্রমুখ।