অনলাইন ডেস্ক : কাটাখাল এলাকায় বরাকনদী থেকে উদ্ধার হল যুবকের মৃতদেহ। শিলচর তারাপুর শিববাড়ি রোডের অসমীয়া বস্তি এলাকার বাসিন্দা মৃণাল বর্মন (২৭) নামে এই যুবক নাপাত্তা ছিলেন গত বুধবার রাত থেকে। তার মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্যের। সন্দেহ করা হচ্ছে মৃণালকে খুন করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
জানা গেছে মৃণাল তারাপুর অসমীয়া বস্তির বাড়িতেই থাকতেন। তিনি কাজ করতেন অদূরবর্তী এলাকার এক মিষ্টির দোকানে। গত বুধবার রাত ন’টা নাগাদ হঠাৎ বাড়ি থেকে তিনি নাপাত্তা হয়ে যান। এ নিয়ে পরিবারের লোকেরা তারাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে এক মিসিং রিপোর্ট করেন। পাঁচ দিন পর রবিবার সকালে কাটাখাল এলাকায় বরাক নদীতে তার পচাগলা মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। খবর পেয়ে কাটাখাল পুলিশ সেখানে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় হাইলাকান্দি সন্তোষ কুমার রায় সিভিল হাসপাতালে।
এদিন কাটাখাল এলাকায় নদী থেকে মৃতদেহ ভেসে উঠার পর খবর পেয়ে শিলচর থেকে ছুটে আসেন মৃণালের পত্নী এবং অন্যান্য পরিজনরা। তারা সনাক্ত করেন মৃতদেহ। মৃণালের পত্নী সন্দেহ ব্যক্ত করেন ঘটনার পেছনে লুকিয়ে রয়েছে কোনও রহস্য। তিনি জানান, মৃণাল নাপাত্তা হওয়ার ঘন্টাখানেক আগে তাদের পাশের বাড়ির দেবরাজ ও শ্রীদাম নামে দুই যুবক তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। পুরানো বিবাদের সূত্র ধরে ওই দুজন বেশ কিছুদিন ধরেই তাকে হুমকি দিয়ে আসছিল।
পুলিশ অবশ্য এই মুহূর্তে ঘটনা নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে রাজি নয়। পুলিশের এক সূত্র জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর কিভাবে মৃনালের মৃত্যু ঘটেছে, এ নিয়ে আভাস পাওয়া যাবে। তবে এই মুহূর্তে ঘটনাটা যে রহস্যজনক ঠেকছে, তাও মেনে নেন পুলিশের সূত্রটি।