অনলাইন ডেস্ক : কারিগরি শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র নেই, এরপরও রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিযুক্তি পেয়ে গিয়েছিলেন ১৮জন। এবার বাতিল করা হলো এদের নিযুক্তি। যাদের নিযুক্তি বাতিল করা হয়েছে, এরমধ্যে রয়েছেন শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিযুক্তিপ্রাপ্ত তিনজনও। বাতিল করা হলেও বর্তমানে প্রশ্ন উঠছে নিযুক্তি প্রক্রিয়া নিয়েই।
জানা গেছে, শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেন্টাল টেকনিশিয়ান হিসেবে নিযুক্তি পেয়েছিলেন শিলচরেরই বেতুকান্দি এলাকার লাকি পাল, পাথারকান্দির তৈমুর আহমদ এবং বিশ্বনাথ মিছামারির দীপঙ্কর শর্মা। কিন্তু এই তিনজন কাজে যোগ দিতে আসার পর দেখা যায়, এদের প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র নেই। তাই কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের কাজে যোগ দিতে দেননি। এ নিয়ে নানা টালবাহানার পর অবশেষে গত ২৯ আগস্ট চিকিৎসা শিক্ষা সঞ্চালকালয়ের পক্ষ থেকে এদের নিযুক্তি বাতিল করা হয়।
শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিযুক্তিপ্রাপ্ত এই তিনজন ছাড়া একইভাবে নিযুক্তি বাতিল করা হয়েছে আরও ১৫ জনের। এদের নিযুক্তি দেওয়া হয়েছিল ফিজিওথেরাপিস্ট, ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান, ডায়েটিশিয়ান, ড্রেসার, ও ব্ল্যাকস্মিথ ইত্যাদি পদে। এই ১৫ জনকে নিযুক্তি দেওয়া হয়েছিল যোরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গুয়াহাটির মহেন্দ্র মোহন চৌধুরী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ অন্যান্য কয়েকটি মেডিকেলে। খবর অনুযায়ী শিলচরের মতো অন্যান্য হাসপাতালগুলোতেও শুরুতেই নিযুক্তিপ্রাপ্ত প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় কাজে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। তবে যোরহাট মেডিক্যাল কলেজে নিযুক্তিপ্রাপ্তরা কয়েক দিন সেখানে কাজও করেন । পরবর্তীতে ওই মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটা নজরে আসার পর এদের শংসাপত্র দেখাতে বলেন। তারা দেখাতে না পারায় কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
এদিকে ১৮ জনের এই অদ্ভুত নিযুক্তির ব্যাপারটা নজরে আসার পর নড়েচড়ে বসে চিকিৎসা শিক্ষা সঞ্চালকালয়। যদিও কিছুদিন ব্যাপারটা ঝুলিয়ে রাখার পর গত ২৯ আগস্ট বাতিল করা হয় এদের নিযুক্তি। এদিকে যে ১৮ জন নিযুক্তি পেয়েছিলেন, তাদের কারো কারো পক্ষ থেকে বলা হয়েছে , প্রয়োজনীয় কারিগরি শিক্ষার শংসাপত্র না থাকা সত্ত্বেও নিযুক্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি জারির পর তারা আবেদন করেছিলেন। কারণ যেসব কাজের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তারা সেসব কাজ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। আবেদন করার পর যথারীতি তাদের এডমিট কার্ড পাঠানো হয়। এরপর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে স্কিল টেস্টও নেওয়া হয়। তাদের কথায় বাতিল করতে হলে স্কিল টেস্টেই করে নেওয়া উচিত ছিল।
চিকিৎসা শিক্ষা সঞ্চালকালয়ের এক সূত্র বলেন, খুব সম্ভবত কোনও স্তরে নজরদারির অভাবেই ঘটে গেছে ব্যাপারটা। তাই এই মুহূর্তে এদের নিযুক্তি বাতিল করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।