অনলাইন ডেস্ক : শিলচর লোচন বৈরাগী রোডে সাংসদ ডা: রাজদীপ রায়ের বাড়ি থেকে শনিবার উদ্ধার হলো কিশোরের ঝুলন্ত মৃতদেহ। বছর ১১-র ওই কিশোরের নামও রাজদীপ রায়। ঘটনাকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্যের।
জানা গেছে মৃত কিশোর ছিলো পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়া। তার মা কাজ করেন সাংসদ রায়ের বাড়িতে। ওই মহিলা মূলত ধলাই পানিভরা এলাকার বাসিন্দা। বছর তিনেক থেকে তিনি কাজ করছেন সাংসদের বাড়িতে। সাংসদের বাড়িতে থেকেই কাজ করেন তিনি। শুরুতে এসেছিলেন একা,বছর খানেক আগে এখানে নিয়ে আসেন তার দুই সন্তান এক ছেলে এবং এক মেয়েকেও। ছেলে রাজদীপ ছিল পঞম শ্রেণীর পড়ুয়া, মেয়ে পড়ে অষ্টম শ্রেণীতে।
ঘটনা নিয়ে সাংসদ রায় জানান, মা ও দুই ছেলে মেয়ের পরিবারের বর্তমান আস্তানা তার বাড়ির দ্বিতলের একটি ঘর। এদিন বিকেলে মা ও মেয়ে একটু বাইরে গিয়েছিলেন। তারা বেরিয়ে যাওয়ার সময় ছেলেটি মাকে বলেছিল মোবাইল দিয়ে যেতে। মা দিয়ে যাননি, প্রায় ৪০ মিনিট পর মা ও মেয়ে ফিরে এসে দেখেন ঘরের ভেতর ঝুলছে গলায় ফাঁস পরানো কিশোর রাজদীপের মৃতদেহ। তখন ডাকা হয় অন্যান্যদের, খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এদিকে সাংসদের বাড়ির অন্য এক সূত্র জানিয়েছেন, ওই কিশোর ছিল মোবাইলের পোকা। তার কথায়,খুব সম্ভবত মা মোবাইল না দিয়ে যাওয়ায় অভিমানে সে আত্মঘাতী হয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে সাংসদ রায় স্পষ্ট করে কিছু না বললেও তিনিও অনুমান ব্যক্ত করেন, ঘটনাটা সম্ভবত আত্মহত্যাই। সঙ্গে অবশ্য তিনিও বলেন, তার বাড়ি বলে তদন্তে যেন কোন রকম কাটছাট করা না হয় তিনি নিজে একথা বলেছেন পুলিশ সুপারকে।
মৃত কিশোর রাজদীপের মামা জানিয়েছেন, তারও অনুমান ঘটনাটা আত্মহত্যাই। খুব সম্ভবত এর পেছনে কোনও রহস্য লুকিয়ে নেই। পুলিশও প্রাথমিকভাবে ঘটনাটাকে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে। কিশোরের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।