অনলাইন ডেস্ক : শিলচরে ই-রিক্সা চলাচলের ক্ষেত্রে শুরু হলো জোড়-বেজোড় ব্যবস্থা। আর বুধবার প্রথমদিন এর ফল মিলেছে বেশ ভালোই। শহরের রাস্তাঘাট এদিন প্রায় যানজট মুক্তই ছিল বলা যায়।
শহরে যানজট সমস্যা লাঘব করার উদ্দেশ্যে গত ৯ আগস্ট শিলচরে জেলা শাসকের কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক রোহন কুমার ঝা, পুলিশ সুপার নূমল মাহাতো, জেলা পরিবহন আধিকারিক অংশুমান বিশ্বাস সহ ট্রাফিক পুলিশ এবং পূর্ত বিভাগের কয়েকজন আধিকারিক এবং ই রিক্সা মালিক সংস্থার কর্মকর্তারা। আলোচনাক্রমে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যানজট এড়াতে শহরে প্রতিমাসের জোড় তারিখগুলোতে চলাচল করতে পারবে নম্বরের শেষ সংখ্যা জোড় এমন ই-রিক্সাগুলোই। একইভাবে নম্বরের শেষ সংখ্যা বেজোড় এমন ই-রিক্সাগুলো চলবে বেজোড় তারিখে । সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১৬ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে এই ব্যবস্থা। সে অনুযায়ী এদিন থেকে কার্যকর করা হয়েছে তা।
এদিন এই ব্যবস্থা কার্যকর হলেও জরিমানা আদায় করা হয়নি। তবে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং জেলা পরিবহন আধিকারিক সহ ট্রাফিক পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা এদিন রাস্তায় নেমে এনিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য অভিযান চালান। ই-রিক্সা চালকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াস চালানোর পাশাপাশি এদিন ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা গাড়িতে কালো কাঁচ ব্যবহারকারী,হেলমেটবিহীন দ্বিচক্রযানের আরোহী সহ যানবাহন আইন ভঙ্গকারী অন্যান্যদের কাছ থেকে ব্যাপক হারে জরিমানা আদায় করেন।
ট্রাফিক পুলিশের সিটি ইন্সপেক্টর বি দাস জানিয়েছেন, জোড়- বেজোড় ব্যবস্থার প্রথম দিন হওয়ার দরুন এদিন ই-রিক্সার চালকদের জরিমানা করা হয়নি। শুধু সচেতনামূলক প্রচারই চালানো হয়েছে তাদের মধ্যে। তবে ভবিষ্যতে কোনও ই-রিক্সা চালক বেঁধে দেওয়ার নিয়ম ভেঙ্গে রাস্তায় বের হলে তাদের জরিমানা করা হবে অবশ্যই। সঙ্গে অবশ্য তিনি এও জানান, এদিন নম্বরের শেষ সংখ্যা বেজোড়, এমন খুব বেশি ই-রিক্সা শহরের রাস্তায় বের হয়নি। বলতে গেলে চালকরা বেঁধে দেওয়ার নিয়ম মানার ক্ষেত্রে সচেতনতাই দেখিয়েছেন।
জেলা পরিবহন আধিকারিক অংশুমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, এদিন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এই ব্যবস্থা চালু করা হলেও যেভাবে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে তাতে মনে হচ্ছে এতে কাজ হবে অবশ্যই। তিনি জানান, শহরে গড়পরতা চলাচল করে প্রায় তিন হাজার ই-রিক্সা। জোড়-বেজোর ব্যবস্থায়, একেকদিন এর অর্ধেক ই-রিক্সা বের হবে রাস্তায়। এতে যানজটের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়াটা খুব স্বাভাবিক।