অনলাইন ডেস্ক : খাদ্য সুরক্ষার চাল আত্মসাতের দরুন সাসপেন্ড করা হলো সোনাবাড়িঘাট সমবায় সমিতি লিমিটেডকে। সাসপেন্ড করে এই সমবায় সমিতির অধীন ন্যায্য মূল্যের দোকানগুলো “ট্যাগ” করা হয়েছে মেহেরপুর-কৃষ্ণপুর সমবায় সমিতির সঙ্গে।
জানা গেছে খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ বিভাগের তদন্তে সোনাবাড়িঘাট সমবায় সমিতিতে সুরক্ষার ১৯৪’৮৯ কুইন্টাল চাল আত্মসাতের ব্যাপারটা ধরা পড়ার পর বিভাগীয় সুপারিনটেনডেন্ট প্রকাশ কুমার কলিতা সোমবার এক নির্দেশে ওই সমবায় সমিতিকে সাসপেন্ড করেন। বিভাগীয় সূত্রে জানা গেছে, আত্মসাত করা হয়েছে ২০২২ সালের জুলাই মাসে বরাদ্দ খাদ্যসুরক্ষা যোজনার চাল। ওই মাসে সোনাবাড়িঘাট সমবায় সমিতির কর্তাব্যক্তিরা খাদ্য সুরক্ষার ৭৪৬’৪৯ কুইন্টাল চাল উঠিয়ে নিয়ে যান। তাদের নথিপত্রে দেখানো হয় এরমধ্যে ৫৫১’৬ কুইন্টাল চাল বিতরণ করা হয়েছে ওই মাসেই। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বাকি ১৯৪’৮৯ কুইন্টাল চাল দীর্ঘ ৭ মাস পর এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিতরণ করা হয়েছে বলে দেখানো হয়।
সূত্রটি আরও জানান সোনা বাড়ি ঘাট সমবায় সমিতির অধীনে রয়েছে ৩৯টি ন্যায্য মূল্যের দোকান। ৭ মাস পর এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে এই ১৯৪’৮৯ কুইন্টাল চাল ৩৯টির মধ্যে ২৫টি দোকানে বিতরণ করা হয়েছে বলে দেখানো হয়। কিন্তু এভাবে দীর্ঘ ৭ মাস পর চাল বিতরণ করার ক্ষেত্রে বিভাগীয় অনুমোদন নেননি সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা। এই অবস্থায় সন্দেহ হওয়ায় নথিপত্রে উল্লিখিত ২৫ টি ন্যায্য মূল্যের দোকানের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা জানান, এই চাল তাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়নি। এরপর সমবায় সমিতি বিতরণ নিয়ে যে নথিপত্র তৈরি করেছিল তা ভালোভাবে যাচাই করে দেখা যায় সেসব তৈরি করা হয়েছে জালিয়াতি করে।
তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে আসার পর স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ফেব্রুয়ারি মাসে যে ১৯৪’৮৯ কুইন্টাল চাল বিতরণ করা হয়েছে বলে নথিপত্রে দেখানো হয়েছে, বাস্তবে সেসব বিতরণ না করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। তদন্তকারী অফিসার বিভাগীয় পরিদর্শক দিব্যজ্যোতি পাঠক এ নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেন সুপারিনটেনডেন্ট- এর কাছে। এরপর সুপারিনটেনডেন্ট সমবায় সমিতিকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ জারি করেন। সাসপেনশনের নির্দেশ জারির পর মঙ্গলবার ওই সমবায় সমিতির গুদামে সাম্প্রতিককালে বরাদ্দ যেসব চাল ছিল সেসব হস্তান্তর করা হয়েছে মেহেরপুর-কৃষ্ণপুর সমবায় সমিতি কর্তৃপক্ষের কাছে।