অনলাইন ডেস্ক : শিলচর হাইলাকান্দি রোড মদনমোহন পার্কের বাসিন্দা যুবতী পিঙ্কি রায় (১৮)-এর হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে ত্রিকোণ প্রেম জনিত দ্বন্দ্ব। এমনটাই সন্দেহ করছে পুলিশ। পুলিশ এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।
জানা গেছে পুলিশ এদিন দিনেরভাগে প্রথমে আটক করে হাইলাকান্দি জেলার লালার বাসিন্দা পিঙ্কির প্রেমিক বলে কথিত যুবক পিনাক শুক্লবৈদ্যকে। এরপর রাতের দিকে আটক করা হয় শিলচর সংলগ্ন দুধ পাতিলের বাসিন্দা সঞ্জিত কর্মকার নামে অন্য এক যুবককে।
গতকাল মঙ্গলবার ধোয়ারবন্দে এক নির্মিয়মান ভবন থেকে পিংকির দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই তার মা-বাবা সন্দেহ ব্যক্ত করছিলেন প্রেমিক পিনাককে ঘিরে। এর সূত্র ধরে বুধবার দিনের ভাগে পুলিশ পিনাককে তার লালার বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পিনাককে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পর রাতের দিকে ধরে আনা হয় সঞ্জিতকে। যদিও এদের আটক করা নিয়ে পুলিশের কর্তা ব্যক্তিরা সরকারিভাবে এদিন মোটেই মুখ খুলতে রাজি হননি।
এদিকে পিঙ্কির ঘনিষ্ঠ এক সূত্রে জানা গেছে, পিনাক বেঙ্গালুরুতে এক বেসরকারি সংস্থায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। প্রায় বছরখানেক থেকে পিংকির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। তবে কিছুদিন ধরে পিনাকের মনে সন্দেহ জেগে উঠেছিল পিঙ্কি তাতুয়া পদবীর অন্য এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এ থেকেই দুজনের সম্পর্কে কিছুটা জটিলতার সৃষ্টি হয়।
পিনাক সম্পর্কে জানা গেছে, দিন কয়েক আগে তিনি বাঙ্গালুরু থেকে বাড়িতে আসেন। মঙ্গলবার পিঙ্কির মৃতদেহ উদ্ধারের পর তার পরিবারের লোকেরা পিনাকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সবকিছু জানান। তখন পিনাক বলেছিলেন, শীঘ্রই আসছেন তিনি। কিন্তু এরপর আর আসেননি।
অন্য যুবককে ঘিরে পিনাকের মনে পিঙ্কি সম্পর্কে সন্দেহ জেগে ওঠা এবং আসছি বলেও তার না আসা থেকেই পিঙ্কির পরিবারের লোকেরা তাকে ঘিরে সন্দেহাতূর হয়ে উঠেন।
এদিকে পুলিশের সূত্রটি জানান, পিনাককে সন্দেহ করার মত যথেষ্ট কারণ থাকলেও জিজ্ঞাসাবাদের জবাবে তিনি নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে তিনি ঠিক কবে বাঙ্গালুরু থেকে বাড়িতে এসেছেন এ নিয়েও সন্দেহ রয়েছে পুলিশের।
পিনাককে আটক করার পাশাপাশি সঞ্জিতকে কেন আটক করা হয়েছে, এ নিয়ে পুলিশ এই মুহূর্তে কিছুই বলতে রাজি নয়। দুজনকেই বর্তমানে জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।