অনলাইন ডেস্ক : শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ২০০ শয্যার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। জাপানের একটি সংস্থা জাইকার অনুদানের ওপরই মূলত এই নতুন হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এবার ওই সংস্থার ডাকেই জাপান সফরে যাচ্ছেন শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ভাস্কর গুপ্ত। তাঁর সঙ্গে রাজ্যের আরও ছ’টি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষরাও যাচ্ছেন।
ভাস্করবাবু জানালেন, ‘সোমবার টোকিওতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে আমাদের। জাপানের দু’টি শহরে ভ্রমণের কথা। একটি টোকিও, অন্যটি ওয়াকিহামা।’ শিলচর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ছাড়াও গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ, ডিব্রুগড়ের অসম মেডিক্যাল কলেজ, বরপেটা, লখিমপুর, তেজপুর ও ডিফু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষদেরও জাপান সফরে যাওয়ার সূচি রয়েছে। মোট সাতদিনের সরসূচিতে আছে জাপানের ন্যশনাল ক্যান্সার সেন্টারে-সহ কয়েকটি নির্মীয়মাণ হাসপাতালের পরিদর্শন। ওই দেশের চিকিৎসার সরঞ্জাম তৈরির কারখানা সহ বিভিন্ন পরিকাঠামোগত বিষয়বস্তু বোঝার জন্য বেশ কয়েকটি জায়গাউ যাবেন ভাস্করবাবুরা।
শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষের কথায়, ২০০ শয্যার সুপার স্পেশিয়ালিটি হাসপাতালে থাকবে বিভিন্ন অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। বিশেষভাবে তৈরি সার্জারি কক্ষ থেকে শুরু করে পৃথক ব্লাড ব্যাঙ্ক, ফার্মাসি ইত্যাদি বহু সুবিধা থাকবে। নিউরোসার্জারি, নিউরোলজি, কার্ডিওলজি, কার্ডিয়াক সার্জারি, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি – এই ছ’টি বিভাগ থাকার পরিকল্পনা রয়েছে। ভাস্কর গুপ্ত বললেন, ‘এই হাসপাতাল চালু হওয়ার পর সুপার স্পেশিয়ালাইজেন কোর্স যেমন ডক্টর অব মেডিসিন, এমসিএইচ ইতাদি শুরু করা হবে। গোটা হাসপাতালে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সৌর প্যানেল লাগানো হবে।’
জাপানের সংস্থা জাইকার দাবি, আগামী ২৪ মাসের মধ্যেই এই নতুন হাসপাতাল তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হবে। ভাস্করবাবুর মন্তব্য, ‘এটি প্রস্তুত হয়ে গেলে শিলচরে চিকিৎসার ভোল অনেকটাই পালটে যাবে। দেশের বড় শহরে যেসব অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি উপলব্ধ রয়েছে সেসব তখন এখানেও পাওয়া সম্ভব।’
সুপার স্পেশিয়ালিটি হাসপাতালের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে কার্যত একপ্রকার প্রশিক্ষণ দিতেই সাতদিনের সফরের আয়োজন করেছে জাপানের সংস্থাটি। ভাস্করবাবুর সঙ্গে রাজ্যের অন্য ছ’টি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ-সহ যাচ্ছেন রাজ্যের মেডিক্যাল শিক্ষার ডিরেক্টর সহ অন্যান্যরা। আগামী ১৬ জুলাই ভারতে ফিরবে এই প্রতিনিধি দল।