অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে যেমন আক্রমণের নিশানা বানিয়েছেন, তেমনি ছেড়ে দেননি শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায়কেও। বুধবার কাছাড়ে এসে রাইজর দলের সভাপতি তথা শিবসাগরের বিধায়ক অখিল গগৈ প্রশ্ন তুলে বলেন, রাজদীপ রায় তো কিছুদিন পরপরই মাল্টি মডেল লজিস্টিক পার্ক (এমএমএলপি), ডলুতে গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্ট হচ্ছে বলে ঢোল বাজিয়ে থাকেন। কিন্তু বাস্তবে এসব হচ্ছে কি।
এদিন জেলায় এসে তিনি বড়খলার জাটিঙ্গামুখে এক দলীয় সভায় যোগ দেন। এর আগে শিলচর আবর্ত ভবনে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, বরাকের মানুষের প্রতি বিজেপি সরকারের দায়বদ্ধতা বলতে কিছুই নেই। এই তো মহা সড়কের ৩২ কিলোমিটার অংশও আজ পর্যন্ত শেষ হয়নি। যার দরুন বরাক উপত্যকার লোকেদের গুয়াহাটিতে যাতায়াত করতে হচ্ছে মেঘালয় হয়ে। তিনি আরও বলেন, রাজদীপ রায়দের কথাবার্তা শুনলে মনে হয় বরাক উপত্যকা যেন সোনার হয়ে গেছে। কিন্তু এখানে এসে তিনি জানতে পেরেছেন একটু বৃষ্টি হলেই শিলচর শহর জলে ডুবে যায়। শহরবাসীর ভোগান্তির শেষ থাকে না। এরপর মিনি সচিবালয়, মাল্টি মডেল লজিস্টিক পার্ক এবং গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্ট নিয়ে চড়া সুরে আক্রমণ করেন। মিনি সচিবালয় নিয়ে তিনি বলেন, সেই কবে থেকে এ নিয়ে শুনছেন। কিন্তু এখনও মিনি সচিবালয়ের কোনও কার্যকারিতা নেই। আর মাল্টি মডেল লজিস্টিক পার্ক এবং গ্রীনফিল্ড এয়ারপোর্ট, এসব কোথায় গেল এ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায়ের উচিত এসবের জবাবদিহি করা। বলেন রাজদীপ তো এসব নিয়ে প্রায়ই ঢোল বাজিয়ে থাকেন, কিন্তু কোথায় কি। তিনি আরও বলেন, বিজেপি সরকারের জমানায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও তেমন উন্নয়ন হয়নি। তবে বরাক উপত্যকা পিছিয়ে রয়েছে আরও।
এরপর জাটিঙ্গামুখের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বর্তমানে রাজ্যের কোষাগার শূন্য, দেউলিয়া হয়ে গেছে সরকার। উন্নয়ন, সুশাসন এসব শুধু বিজ্ঞাপনেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে কোনও প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। আর নিজেদের এই ব্যর্থতাকে আড়াল করতে শাসক দল শুধু বিভাজনের রাজনীতি করে চলেছে। এই সরকারের জমানায় বিশেষত মধ্যবিত্তদের অবস্থা হয়ে উঠেছে খুবই সঙ্গিন।
সভায় দলীয় স্থানীয় কর্মকর্তাদের আশানুরূপ জনসমাগম না হলেও অখিল তার বক্তব্যে আগাগোড়া ছিলেন আক্রমনাত্মক। তিনি কয়লা, সার, সুপারি ইত্যাদি নিয়ে সিন্ডিকেটরাজ চলছে বলেও অভিযোগ এনে সরব হন। এদিনের সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমদ, কাছাড় জেলা কমিটির সভাপতি রুকনউদ্দিন বড়ভূঁইয়া, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির কর্মকর্তা টিকেন্দ্রজিত সিনহা প্রমুখ।