অনলাইন ডেস্ক : ফের বিতর্ক শিলচরের অগ্রণী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলেজিয়েট স্কুলে। দিন কয়েক আগেই মাধ্যমিকে স্কুলছাত্রী ঋতজা দেব মেধা তালিকায় নবম স্থান দখল করার সুবাদে শিরোনামে এসেছিল কলেজিয়েট-এর নাম। তবে সেই রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই ফি বাড়ানোর অভিযোগে শনিবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন অভিভাবকদের একাংশ। স্কুল পরিচালন সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতেও জড়ালেন তাঁরা। সব মিলিয়ে এদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্কুল চত্বর। এদিন ছিল গার্জিয়ানস মিট। কিন্তু এর আগে-ই সকালে স্কুলের মূল ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকেন অভিভাবকদের একাংশ। পরে ফটকে -ই ব্যানার ঝুলিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। তাঁদের অভিযোগ, আগাম নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ করে টিউশন ফি ২৫০ টাকা বাড়িয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে ভর্তি ফি এক লাফে বেড়েছে ২ হাজার টাকা। অভিভাবকদের বক্তব্য, এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গে-ও কথা বলবেন তাঁরা। এর আগে অভিভাবকদের সই সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। এদিকে, যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন করেন স্কুলের অধ্যক্ষ শাশ্বতী ভট্টাচার্য রায়। অভিভাবকদের বিক্ষোভকে ভিত্তিহীন দাবি করে তিনি বলেন, স্কুলের ফটকে পোস্টার বা ব্যানার লাগাতে গেলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। যা পালন করেননি বিক্ষোভকারীরা। তিনি উল্লেখ করেন, ভর্তি ফি হুট করে বাড়ানো হয়নি। গত মার্চে এক বৈঠকে মিলিত হবার পর সবার সম্মতিক্রমে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাছাড়া ২০১৮ সালের পর এই প্রথম স্কুলের টিউশন ফি এক হাজার টাকা করা হচ্ছে। দুটি স্ল্যাব-এ দেড়শ এবং আড়াইশো টাকা ফি বাড়ানো হয়েছে। যা অন্যান্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেক কম। তিনি বলেন, স্কুল উচ্চতর মাধ্যমিকের স্বীকৃতি পাওয়ায় প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির লক্ষ্যে অর্থের প্রয়োজন পড়েছে। তাই অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি বলেন, বিষয়টি ইতিমধ্যে জেলাশাসকের নজরে আনা হয়েছে।