অনলাইন ডেস্ক : হাইলাকান্দি জেলা কেন্দ্রীয় বিহু উদযাপন সমিতির পক্ষ থেকে প্রথমবারের মত বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাইলাকান্দি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু স্টেডিয়ামে ভিন্ন স্বাদের গান গেয়ে মঞ্চ কাঁপালেন অসমের জনপ্রিয় কণ্ঠ শিল্পী জুবলী বরুয়া। পাশাপাশি প্রখাত বিহুগান লেখক লোকশিল্পী বিমান বরুয়ার পরিবেশনায় ফুটে ওঠে বহু জনপ্রিয় সঙ্গীতের আসল পরিচয়।নির্দিষ্ট সময় থেকে প্রায় ঘণ্টা খানেক পর শুরু হয় অনুষ্ঠান। এদিন প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন উদযাপন সমিতির সভাপতি তথা প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায় সহ জেলা শাসক নিসর্গ হিবরে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ড: বিদ্যুৎ বড়ো, জেলা বিজেপি সভাপতি স্বপন ভট্টাচার্য, সুব্রত শর্মা মজুমদার, কার্যকরী সভাপতি মনোজিৎ দাস, সহ সভাপতি নির্মল ঘোষ সম্পাদক পাপু কলিতা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শংকর চৌধুরী, তাপস পাল, জাইনুর আহমেদ, নয়ন নাথ গগৈ, চিরতোষ চৌধুরী ও অন্যান্যরা।
এরপর হাইলাকান্দি সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রীরা একখানি সমবেত রবীন্দ্র নৃত্য এবং ভূপেন হাজরিকার একখানি সঙ্গীতের উপর নৃত্য পরিবেশন করে।তাছাড়া সম্প্রতি গিনেস বুক অফ ওয়াল্ড রেকর্ডসে হাইলাকান্দি জেলার প্রতিনিধিত্ব করা নৃত্য শিল্পী ও আদরকোনা বিহু হুচরি দলের নৃত্য ও দর্শকদের ভাল লাগে। এদিন আমন্ত্রিত অতিথি বিমান বরুয়া ও জুবলি বরুয়া কে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সভাপতি গৌতম রায় এদিন সবাই কে স্বাগত জানিয়ে বলেন বিহু উদযাপন সমিতির পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে তিনি সবার সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জেলা শাসক নিসর্গ হিবরে ও সাধুবাদ জানান।
এদিন সম্প্রতি গুয়াহাটিতে গিনিস বুক অব ওয়াল্ড রেকর্ডসে গিয়ে যারা বিহু বিনোদিয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ছিলেন তাদের অনুষ্ঠান ও সবার ভাল লাগে।তাছাড়া গীতিকার সুরকার আসামের প্রখ্যাত লোক শিল্পী বিমান বরুয়া এদিন হাইলাকান্দিবাসীদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে নিজের লেখা কয়েকখানি গান গেয়ে শোনান। পরবর্তীতে জুবলী বরুয়া মঞ্চে এলে গোটা অনুষ্ঠান জুড়ে বাংলা, হিন্দি, গোয়ালপাড়িয়া ইত্যাদি গান গেয়ে এক মনোমুগ্ধকর পরিবপশের সৃষ্টি করেন। তিনি ও হাইলাকান্দিবাসীর আতিথেয়তায় সন্তোষ প্রকাশ করে আগামী দিনে ও হাইলাকান্দি এসে অনুষ্ঠান করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। এছাড়াও এদিন নবাগত পুলিশ সুপার লীনা দোলে ও সবাই অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের কার্যবাহী আধিকারিক জয়দীপ শুক্লা, ডিএসপি সুরজিৎ চৌধুরী ছাড়াও বিভিন্ন থানার ওসি সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি আধিকারিক কর্মচারী সহ বিশেষ করে পুলিশ পরিবারের শ্রোতার সংখ্যাই বেশি ছিল। প্রায় পাঁচ শতাধিক দর্শক শ্রোতারা সমাগম হয়।