অনলাইন ডেস্ক : এক ব্যক্তিকে প্রাণে মারার দায়ে ৬ জন অভিযুক্তকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করলেন হাইলাকান্দি মহামান্য আদালত। শনিবার হাইলাকান্দির অতিরিক্ত জেলা ন্যায় দণ্ডাধিশ (এডিএসজে) এম এইচ বড়ভূঁইয়া এই লোমহর্ষক ঘটনা রায়দান করেছেন।
এব্যাপারে হাইলাকান্দি আদালতের সরকারি পক্ষের আইনজীবী শান্তনু শর্মা শনিবার জানিয়েছেন, ঘটনা ২০১০ সালের। হাইলাকান্দি জেলার পাঁচগ্রামের বাসিন্দা সফিকুর রহমান চৌধুরী (২৫) নামের এক যুবক স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে চৌকিদারের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে কিছু সামগ্রী চুরির দায়ে সফিকুর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পরে ২০১০ সালের ১৫ অক্টোবর ও ১৮ অক্টোবর দুই দফায় সফিকুর রহমান চৌধুরীর উপর দলবদ্ধ আক্রমণ চালানো হয়। পরবর্তীতে গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে হাইলাকান্দি সিভিল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। পরে গুরুতর জখম সফিকুর রহমান মারা যান। পরবর্তীতে সামিরুন নেছা, মজিবুর রহমান, হান্নান, আজমত আলি, একলাসুর আলি, ফয়জুর আলি এই ছয়জনকে অভিযুক্ত করে সফিকুরের পরিবারের সদস্যরা পাঁচগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৩৫/১০। দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর মামলা হাইলাকান্দি আদালতে চলার পর শুক্রবার ৬ মে অতিরিক্ত জেলা ও ন্যায় দণ্ডাধিশ এম এইচ বড়ভূঁইয়া রায়দান করেন। অতিরিক্ত জেলা ন্যায় দণ্ডাধিশ বড়ভূঁইয়া এই ছয়জনকে অভিযুক্ত করে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে মামলা চলাকালে ১০ জনের সাক্ষী গ্রহন করা হয়েছিল বলে সরকারি আইনজীবী শর্মা জানিয়েছেন। ভারতীয় দন্ডবিধি ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৪৪৭/৪৪৮/৩২৫/৩২৬/ ৩৭৯/৩৮০/৩০২ ধারায় এই ছয়জনকে শাস্তি প্ৰদান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর পর এই লোমহর্ষক ঘটনার রায়দান হওয়ায় আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সফিকুর রহমান চৌধুরীর পরিবারের লোকেরা।
অনলাইন ডেস্ক : এক ব্যক্তিকে প্রাণে মারার দায়ে ৬ জন অভিযুক্তকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করলেন হাইলাকান্দি মহামান্য আদালত। শনিবার হাইলাকান্দির অতিরিক্ত জেলা ন্যায় দণ্ডাধিশ (এডিএসজে) এম এইচ বড়ভূঁইয়া এই লোমহর্ষক ঘটনা রায়দান করেছেন।
এব্যাপারে হাইলাকান্দি আদালতের সরকারি পক্ষের আইনজীবী শান্তনু শর্মা শনিবার জানিয়েছেন, ঘটনা ২০১০ সালের। হাইলাকান্দি জেলার পাঁচগ্রামের বাসিন্দা সফিকুর রহমান চৌধুরী (২৫) নামের এক যুবক স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে চৌকিদারের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে কিছু সামগ্রী চুরির দায়ে সফিকুর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পরে ২০১০ সালের ১৫ অক্টোবর ও ১৮ অক্টোবর দুই দফায় সফিকুর রহমান চৌধুরীর উপর দলবদ্ধ আক্রমণ চালানো হয়। পরবর্তীতে গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে হাইলাকান্দি সিভিল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। পরে গুরুতর জখম সফিকুর রহমান মারা যান। পরবর্তীতে সামিরুন নেছা, মজিবুর রহমান, হান্নান, আজমত আলি, একলাসুর আলি, ফয়জুর আলি এই ছয়জনকে অভিযুক্ত করে সফিকুরের পরিবারের সদস্যরা পাঁচগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৩৫/১০। দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর মামলা হাইলাকান্দি আদালতে চলার পর শুক্রবার ৬ মে অতিরিক্ত জেলা ও ন্যায় দণ্ডাধিশ এম এইচ বড়ভূঁইয়া রায়দান করেন। অতিরিক্ত জেলা ন্যায় দণ্ডাধিশ বড়ভূঁইয়া এই ছয়জনকে অভিযুক্ত করে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে মামলা চলাকালে ১০ জনের সাক্ষী গ্রহন করা হয়েছিল বলে সরকারি আইনজীবী শর্মা জানিয়েছেন। ভারতীয় দন্ডবিধি ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৪৪৭/৪৪৮/৩২৫/৩২৬/ ৩৭৯/৩৮০/৩০২ ধারায় এই ছয়জনকে শাস্তি প্ৰদান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর পর এই লোমহর্ষক ঘটনার রায়দান হওয়ায় আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সফিকুর রহমান চৌধুরীর পরিবারের লোকেরা।