গ্রীষ্মের স্বাস্থ্যকর পানীয়
গ্রীষ্মকালে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সুস্বাদু পানীয়ের জুড়ি নেই।বেশি গরমে বারে বারে জল খেতে বিস্বাদ লাগে। অথচ ডাক্তাররা এ সময় বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। শুকনো গরমে যেমন শরীরের জল শুকিয়ে যায়, তেমনি অতিরিক্ত আর্দ্র গরমে ঘামের মাধ্যমে জলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় খনিজ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাই, গ্রীষ্মকালে শুধু বেশি করে জল খেলেই হয়না, এর সঙ্গে শরীরের প্রয়োজনীয় এনার্জি পেতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে বিভিন্ন ভেষজ ও ফলের তৈরি পানীয় বেশ উপকারী।আজ এরকম কয়েকটি পানীয়ের হদিশ রইলো আপনাদের জন্য।
বেলের পানা—
একটি বেলকে মাঝখান থেকে কেটে ভেতরের পাল্পগুলো ভালো করে বের করে আনুন। তারপর এক গ্লাস জলে কুড়ি মিনিটের জন্য এগুলো ভিজিয়ে রাখুন। এবার কুড়ি মিনিট পর সেই পাল্প ভেজানো জলে এক চা চামচ গুড়, ভাজা জিরা, এলাচ এবং এক চিমটি কালো লবণ দিয়ে পরিবেশন করুন।
গুলকন্দ ছাঁচ—
এক গ্লাস দুধে এক চা চামচ গুলকন্দ দিয়ে হ্যান্ড ব্লেন্ডারে ভালো করে মিশিয়ে নিন।ব্যস, গুলকন্দ ছাঁচ তৈরি।
লেবু-পুদিনার শরবত—
এই শরবত তৈরির উপকরণ হল, পাতিলেবুর রস, পুদিনা পাতা,কাঁচা লংকা, হাফ চা চামচ করে চাট মশলা এবং ভাজা জিরে গুঁড়ো, স্বাদমতো চিনি, নুন এবং জল। সবগুলো উপকরণকে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। একটি বড় বাটিতে বরফ রেখে তার মধ্যে মিশ্রণটি ছাকনি দিয়ে ছেঁকে নিন।এবার গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন। এই শরবত পেট ঠাণ্ডা রাখে এবং খেতেও সুস্বাদু।
এছাড়া মালটা, তরমুজ, আম ইত্যাদি নানারকম ফলের তৈরি পানীয়ও গরমে তৃপ্তিদায়ক এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে অবশ্যই তাজা ফলের রস খাবেন। প্যাকেটজাত কৃত্রিম রঙ মেশানো ঠাণ্ডা পানীয় অস্বাস্থ্যকর। তাই এগুলো এড়িয়ে চলুন।