অনলাইন ডেস্ক : শতাব্দী প্রাচীন দলের হাল বেহাল। শিলচর কংগ্রেসের অন্তর্কোন্দল এবার প্রকাশ্যে চলে এল। নবনিযুক্ত শিলচর জেলা কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ পালের আহ্বান করা ব্লক কংগ্রেস সভাপতিদের সভাকে ঘিরে দলের অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা করার জন্য অভিজিৎ পাল বুধবার বিকেল তিনটায় শিলচর জেলা কংগ্রেসের অধীন ১৬টি ব্লকের সভাপতিদের এক সভা আহবান করেছিলেন জেলা কংগ্রেস কার্যালয় ইন্দিরা ভবনে। অভিজিতের নির্দেশে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবদীপ দত্ত এনিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন ব্লক কংগ্রেস সভাপতিদের। যদিও সভায় যোগ দেবার জন্য একমাত্র তাপাং ব্লকের সভাপতি কুলেন্দ্র দাস ছাড়া কেউই হাজির হননি।
এ নিয়ে দলে অভিজিতের বিরুদ্ধ পক্ষের বক্তব্য, ব্যাপারটা নীরব বিদ্রোহ ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ সভাপতি হিসেবে অভিজিৎ পালের নিযুক্তি দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মীই মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। শুধু ব্লক সভাপতিরাই নয় দলের অন্যান্য স্তরের কর্মীরাও এ নিয়ে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। আগামী দিনে অভিজিতের প্রতি কর্মীদের এমন অসহযোগিতার চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠবে আরও।
যদিও দলে অভিজিতের ঘনিষ্ঠ এক কর্মকর্তা নীরব বিদ্রোহের কথা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন। ওই কর্মকর্তার কথায়, জেলার বেশিরভাগ ব্লক কংগ্রেস সভাপতিই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। আর বর্তমানে রমজান মাস চলতে থাকায় খুব স্বাভাবিক ভাবেই তারা আসতে পারেননি। আর সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের যারা রয়েছেন, তারা আগেভাগেই অনুমান করে নিয়েছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সভাপতিরা রমজানের দরুন আসতে পারবেন না। যার দরুন ঠিকমতো হয়ে উঠবে না সভাও। তাই গরহাজির থাকেন তাদের অনেকেও। এই ব্যাপারটাকে নীরব বিদ্রোহ বলা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সঙ্গে তিনি এও বলেন, নেহাতই খেয়ালের অভাবে রমজানের মাঝেই সভা আহবান করা হয়। এবং তা অবশ্যই ভুল হয়ে গেছে। এই ভুল শুধরে রমজানের পরবর্তীতে ফের সভা আহবান করলেই দেখা যাবে হাজির হয়েছেন সবাই।
এভাবে অভিমত ব্যক্ত করার পাশাপাশি অভিজিৎ ঘনিষ্ঠ ওই কর্মকর্তা বলেন, অভিজিতের প্রতি দলে এত ক্ষোভ থেকে থাকলে পরবর্তীতে তারই আহুত ইফতার পার্টিতে কিভাবে উপস্থিত হলেন এতো লোক। তিনি জানান ওই পার্টিতে প্রাক্তন বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভূঁইয়া থেকে ধরে সীমান্ত ভট্টাচার্য, আইনজীবী ইমাদ উদ্দিন বুলবুল, রমিজুর বড় লস্কর, দীপক দেব , সঞ্জীব রায় ও সুজন দত্ত সহ উপস্থিত ছিলেন অনেকেই। ভিড়ে ঠাসা ওই ইফতার পার্টিতে দলকে একযোগে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত ব্যক্ত করা হয়। এ থেকেইতো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিদ্রোহের কথা সম্পূর্ণ অমূলক।