অনলাইন ডেস্ক : ফের মিজোরাম থেকে লোয়াইরপোয়া কানমুন আন্ত:রাজ্য সড়ক দিয়ে শিলচরে পাচারের পথে নাগ্রা পুলিশের হাতে ধরা পড়লো কয়েক লক্ষাধিক টাকার বার্মিজ সুপারি বোঝাই একটি লরি সহ চালক। জানা গেছে রবিবার বিকেলে নাগ্রা পেট্টোল পোষ্টের নাকা চেকিং পয়েন্ট অতিক্রম করে পালিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের হাতে আটকা পড়ে লরিটি। মিজোরাম সীমান্ত পোরিয়ে লোয়াইরপোয়া কানমুন সড়ক দিয়ে করিমগঞ্জ অভিমুখে আসার পথে নাগ্রা পুলিশোর নাকা চেকিং পয়েন্ট দ্রুত ব্যাগে অতিক্রম করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ব্যার্থ হয় চালক। নাগ্রা পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কটামনি এলাকা থেকে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় আটক করে নিজ হেফাজতে নিয়ে যায়। সঙ্গে আটক করা হয় লরি চালককে।
এ মর্মে নাগ্রা পেট্টল পোস্টের আই সি জেপি দাস জানান তার,কাছ আগাম খবর ছিল মিজোরাম থেকে বার্মিজ সুপারি নিয়ে তিনটি লরি এই রোড় দিয়ে শিলচরে পাচার হবে এমন আগাম খবরের উপর ভিত্তি করে পুলিশ ফাড়ির সামনে আগে থেকেই নাকা চেকিং লাগিয়েদেন। এর মধ্যে রবিবার সন্ধ্যার পর একটি এসএমএল লরি মিজোরাম থেকে অসম সীমান্তে প্রবেশ করে লোয়াইরপোয়া কানমুন সড়ক ধরে করিমগঞ্জ অভিমুখে আসার পথে নাকা চেকিং পোস্টে পৌঁছে সুজোগ বুঝে দ্রুত বেগে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চালক। এতে নগ্রা পুলিশের ইউবিসি (বি) আহমেদ হোসেন বড়ভুইয়া বিষটি সঙ্গে সঙ্গে আই সি জেপি দাস কে আবগত করেন এবং লরিটিকে চ্যালেঞ্জে জানিয়ে পিছুধাওয়া করতে থাকানে এতে লরি চালক পুলিশের পিছু ধাওয়া আচ করতে পেরে এক সময় সড়কের পাশে গাড়ি ফেলে ক্ষতের জমি দিয়ে পালিয়ে যেতে চায়, তখন স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা পুলিশ চালক কে পাকড়াও করে লরি সহ নাগ্রা পুলিশ পেট্রোল পোস্টে নিয়ে যায়। এবং রাতে স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে পুলিশকর্মীরা গাড়িটিতে তল্লাশি চালালে বেরিয়ে আসে গাড়ির গোপন চ্যাম্বারে ভিতর থেকে বার্মিজ সুপারি। লরিতে তল্লাশি চালিয়ে লরিতে কেভিনে বিশেষ কৌশলে তৈরি করা গোপন খোঁপ থেকে ৪০ বস্তায় মোট ২০২৫ কেজি বার্মিজ সুপার বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। আটক লরি চালকের নাম সালিক উদ্দিন। বাড়ি রাতাবাড়ি থানাধিন উত্তর বিয়াই টিলায়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত লরি চালক জানায় সুপারিগুলো সে মিজোরামের থেকে লোড করে নিয়ে আসছিল এবং শিলচরে পৌছার দেওয়া কথা ছিল
বাজেয়াপ্ত বার্মিজ সুপারি সহ লরি ও চালক নাগ্রা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ সংবাদ সংগ্রহ পর্যন্ত ধৃত চালকে নাগ্রা পুলিশ ফাড়িতে আটকে রেখে টানা জিজ্ঞেসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। সুপারির মুল মালিকের খোজে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে । এদিনের এই অভিযানে নাগ্রা পুলিশের ইনচার্জ জেপি দাসের সঙ্গে ছিলেন ইউবিসি (বি) আহমেদ হোসেন বড়ভূঁইয়া সহ অন্যান্যরা। প্রসঙ্গত গত দীর্ঘদিন ধরে এই রুটকে চোরা কারবারিরা সেফ জোন হিসাবে ব্যবহার করে আসছে বলে অভিযোগ এদিকে আই সি জেপি দাস ও ইউবিসি ( বি) বিলাল আহমেদ বড়ভুইয়া নাগ্রা পুলিশ পেট্টল পোস্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে নেশা বিরুদ্ধ অভিযানের পাশাপাশি অবৈধ সামগ্রী পাচারকারী দের বিরুদ্ধ ইতি মধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযাব চালিয়ে সফলতা পেয়েছে। এতে কয়েক কোটি টাকার অবৈধ সামগ্রী সহ জড়িত বেশ কয়েকজন পাচারকারীদের আটক করেন বিশেষ করে ড্রাগস হেরোইন ইয়াবা টেবলেট ও নেশা জাতীয় কফসিরাফ গাঁজা সহ বার্মিজ সুপারি আটক করে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ঘন ঘন ধরা,পড়ছে এসব অবৈধ সামগ্রী। এতে নাগ্রা পুলিশের এহেন অভিযানে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।