অনলাইন ডেস্ক : অপরাধীকে ধরতে গিয়ে পুলিশের শূন্যে গুলি। এরপর উত্তেজিত জনতার থানা ঘেরাও। পরবর্তীতে জাতীয় সড়ক অবরোধ। উত্তেজনার পারদ হিমালয়ের শিখরে গিয়ে পৌঁছেছে রেল শহর বদরপুরের।
খবরে প্রকাশ, পুলিশ-জনতার খণ্ডযুদ্ধে বুধবার রাতে উত্তপ্ত রেল শহর বদরপুর। শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালাল পুলিশ। উত্তেজিত জনতা করিমগঞ্জ-বদরপুর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বসেন। পুলিশের কথায়, মামলার অপরাধীকে ধরতে যাওয়া কেন্দ্র করে এমন ঘটনার সূত্রপাত। অপরাধীকে ধরতে গেলে, অপরাধী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে, পুলিশ শূন্য গুলি চালায় বলে জানিয়েছেন বদরপুর থানার ওসি।এমনকি, অপরাধীকে গা-ঢাকা দিতে ঘটনাকে ভিন্ন মোড় দিয়ে উত্তেজনা না ছড়ানোর বার্তা মাইকযোগে ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে জানানো হলেও, পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ তুলে সড়ক অবরোধে নামলেন শতশত জনতা। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করে রাখা হয়েছে বিশাল পুলিশ, আধাসামরিক বাহিনী। ছুটে এসেছেন করিমগঞ্জ পুলিশ প্রশাসনের উচ্চস্তরীয় আধিকারিকরা। তবে, খবর লেখা পর্যন্ত বারবার অবরোধকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ মুক্ত করার পর, ফের অবরোধ গড়ে তোলার বিষয়ে থমথম পরিস্থিতি বিরাজ।
জানাগেছে, রাত নটা নাগাদের পুরানো মারপিটের ঘটনার এক অভিযুক্ত বদরপুর শহরে আসার খবর পেয়ে, ওকে ধরতে মাঠে নেমেছিল পুলিশ। আর, হাতের নাগালে অভিযুক্তকে পেয়ে পুলিশ ধরতে গেলে ঘটে বিপত্তি। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী অভিযুক্ত পুলিশের সঙ্গে হম্বিতম্বি দেখিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে, পুলিশ শূন্য গুলি চালায়। আর ঠিক, সেসময় রমজানের তেরাবির নামাজ শেষ হয়েছে মাত্র। এতে লোক সমাগমের মধ্যে এ ঘটনা দ্রুত ভিন্ন মোড় নেয়।
এ দিকে, অবরোধকারীদের অভিযোগ বদরপুর থানার ওসি প্রতিনিয়ত এলাকার মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন। মানুষের উপর অত্যাচার চালাচ্ছেন।ফলে, উপস্থিত প্রশাসনের উর্ধ্বতন আধিকারিকের কাছে শীঘ্রই ওসির বদলির দাবি জানান।