অনলাইন ডেস্ক : সর্বপ্রথম দক্ষিণ এবং মধ্য আমেরিকাতে পাওয়া গেলেও কালক্রমে মিষ্টি আলু সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করে। আমাদের দেশেও এই আলুর ভালোরকম চাষ হয়। কিন্তু আলুর মত মিষ্টি আলুর ততটা কদর আমরা করিনা। মাঝেমধ্যে শখের বসে পোড়া বা সেদ্ধ খাই—ব্যস্, এতটুকুই। তবে এই খাদ্যটিকে এতো সামান্য ভাবার কোনও কারণ নেই। মিষ্টি আলুর মধ্যে রয়েছে অনেক খনিজ এবং ভিটামিন যা এই খাদ্যটিকে অসামান্য করে তুলেছে। দেখে নেওয়া যাক সেইসব উপাদান এবং মানবদেহে তাদের উপকারিতার দিকটি। মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে এটি শরীরের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে উন্নত করে এবং খাদ্য পাচনে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফাইবার ছাড়াও মিষ্টি আলুতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালোরি এবং প্রোটিন। এই সমস্ত কিছুই শরীর গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করে থাকেন, তারা মিষ্টি আলু খেলে উপকৃত হবেন।
মিষ্টি আলুতে রয়েছে অ্যান্থসায়ানিন, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর এক ভিন্ন রূপ। এই বিশেষ উপাদানটি আমাদের শরীরের ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি আটকায়, ফলে ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা কমে যায়। মিষ্টি আলু শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলকে কম করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে হার্ট ভালো থাকে।
মিষ্টি আলুতে থাকা কিছু উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে। ফলে সুগারের রোগীও এই আলু নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
মিষ্টি আলুতে থাকা বিটা ক্যারোটিন শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়ে যায়। এই ভিটামিন আমাদের চোখ এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তাই নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে চোখ ও ত্বক ভালো থাকে। মিষ্টি আলুতে রয়েছে একাধিক ভিটামিন; যেমন ভিটামিন বি, সি, ই, এবং কে। এছাড়াও রয়েছে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। এই সমস্ত উপাদান মিলিতভাবে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে সহায়ক। তবে মনে রাখবেন, সেদ্ধ করে বা পুড়িয়ে খেলে মিষ্টি আলুর গুণ বজায় থাকে। ভাজা কিংবা রান্না করে খেলে এর উপকারী গুণ নষ্ট হয়ে যায় এবং সুগারের ও হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে সেটা অপকারী হয়ে উঠতে পারে। সাদা খোসার মিষ্টি আলু খাবেন না। লাল বা গাঢ় বেগুনি রঙের খোসাযুক্ত মিষ্টি আলুই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।