অনলাইন ডেস্ক : জারইলতলার কিশোর পান্না খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দীপক নাথকে আটক করল বড়খলা পুলিশ।সোমবার সংঘটিত এ ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার ববড়খলা থানায় মামলা জমার পর,এদিন রাতেই অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ।বুধবার সশরীরে নিহত কিশোর পান্নার বাড়িতে এসে খোঁজ নিলেন কাছাড়ের পুলিশ সুপার নূমন মাহাতো।সংবাদ মাধ্যমের সামনে ঘটনা
নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে পুলিশ সুপার এ ঘটনার পেছনে ভিন্ন রহস্য থাকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।উল্লেখ্য পান্না নাথ নামে বছর ১৩র এই কিশোরকে প্রতিবেশী যুবক দীপক নাথ ওরফে পটল পিটিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগে বড়খলা থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন পান্নার বাবা মনমোহন নাথ।এজাহারে তার মনমোহন উল্লেখ করেছেন, সোমবার বিকেল ৫ টা নাগাদ পান্না বাড়ির অদূরে ভূপেন্দ্র নাথ নামে এক ব্যাক্তির বাড়িতে বসে মোবাইলে গেম খেলছিল। ভূপেন্দ্র নাথের বাড়িতে কেউই থাকেন না । খালি বাড়িতে বসে পান্না মোবাইলে গেম খেলার সময় সেখানে যায় দীপকও। এবং গেম খেলায় রত পান্নাকে তাড়িয়ে নিয়ে কাছেই ধানক্ষেতের জমিতে ফেলে বেধড়ক মারপিট করে। মারপিটের পর পান্নাকে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে সরে যায় দীপক। পরবর্তীতে পান্নার মা শিল্পনা নাথ ছেলেকে অচেতন অবস্থায় উঠিয়ে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বড়খলা হাসপাতালে। বড়খলা হাসপাতালের চিকিৎসক শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললে পান্নাকে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে। মেডিকেলে পৌঁছার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মনমোহন নাথ এভাবে অভিযোগ করলেও দীপকের ঘনিষ্ঠ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, পান্নার মৃত্যুর সঙ্গে দীপকের কোনোও সংযোগ নেই।এদিকে,বুধবার এ ঘটনার খোঁজ নিতে আসেন কাছাড়ের পুলিশ সুপার নূমল মাহাতো।সঙ্গে ছিলেন বড়খলা থানার ওসি মনমোহন রাউত সহ বড়খলা থানার পুলিশ দলবল।পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনার তদন্ত চলছে।তদন্তে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।দীপক কে পুলিশ কাষ্টডিতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।তবে,এ ঘটনায় ভিন্ন দিকও থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন পুলিশ সুপার।