অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার মরশুম শুরু হতেই পাঁচগ্রামের নদীভাঙন এলাকায় ব্যাপক ভাবে তীব্র আকারে রূপ ধারণ করেছে। নাজেহাল অবস্থায় রয়েছে শিলচর- করিমগঞ্জ জাতীয় সড়কের পাঁচগ্রাম নদীভাঙনের অংশটি। জাতে হাত করতে পারছে না যানবাহন। পারছেন না পথচারী ও। তীব্র যানজটে পরে নাজেহাল যাত্রীরা। নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পথচারীদের। বিপদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শুধু হালকা যানবাহন নয় ভারী যানবাহনও চলাচল করছে। অনেক ভারী যানবাহন ভারী বোঝা বোঝাই করে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এই জাতীয় সড়কের অংশে মধ্যেবর্তী জায়গায় ভয়ানক রূপ ধারণ করে একটি গর্ত তৈরি হয়ছে। যার ধারণ এখন বৃষ্টিপাত নামতেও জাতীয় সড়কের মধ্যবর্তী জায়গায় থাকা গর্তটি পুকুরে রূপান্তরিত হয়েছে।এই জায়গা টানা কয়েক বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে বরাক নদীর ভাঙন। ভাঙনের তীব্রতায় আতঙ্কিত হয়ে বলতে গেলে দিশেহারা পাঁচগ্রাম কালীবাড়ি লোকনাথ পেট্রোল পাম্প এলাকার মানুষ। বছরের পর বছর এই এলাকায় ভাঙনের তীব্রতায় আতঙ্কিত হতে হয় এলাকাবাসীদের । প্রতিবছরই বর্ষার মরশুম এলে তীব্র গতিতে শুরু হয় ভাঙন। এ অবস্থায় অনেকেই নদী ভাঙনের কবলে পড়ে ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করেছেন। এই ভাঙন রোধে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনতা অনেক দৌড়ঝাঁপ করেও আজ পর্যন্ত কোনও ফল পাননি বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা খোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, হাইলাকান্দি জেলা জলসম্পদ বিভাগ কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে বরাক নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে তাঁরা আতঙ্কিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। বিস্তীর্ণ এই এলাকাজুড়ে টানা পাঁচ-সাত বছর ধরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই ভাঙনের ফলে বরাক নদী ক্রমশ এগিয়ে আসছে বসতবাড়ির দিকে। আর সেই কারণেইরীতিমতো রাতের ঘুম উড়েছে স্থানীয়দের । কেননা, শুকনো মরশুমেও থামছে না এই ভাঙন। শুকনো মরশুমে এই নদীভাঙন প্রতিরোধে কাজে হাত দেননি বিভাগীয় কতৃপক্ষ। এখন আর কাজের সময় না বলে মন্তব্য প্রকাশ করছেন স্থানীয় ভূক্তভোগীরা। তারা বলেন সময়ের কাজ সময়ে করতে হয়। বর্ষা যখন আরো ঘনিয়ে আসবে তখন নিদ্রাভঙ্গ হবে কর্মকর্তাদের । শুরু হবে দৌড়ঝাঁপ রাস্তা মেরামতের । তখন কোন কাজে আসবে না , নেহাৎ লোক দেখানো আর অর্থের অপচয় ছাড়া কিছুই হবে না। এখন আর বর্ষার মরশুম প্রবেশ হয়ে গিয়েছে, কাজ করে কোনো লাভ হবে না। স্থানীয়রা ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, বিগতদিনে জেলাশাসক, সাংসদ, বিধায়ক সহ নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের স্মারকপত্র দিয়ে ভাঙনের বিষয়টি অবগত করা হয়। কিন্তু কারও কোনও হেলদোল নেই। ভাঙনের তীব্রতা দেখেও নীরব দর্শক সবাই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তারা বলেন, পরিবার পরিজন নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে শুকনোর মরশুমেও কোনও কাজে হাত দেননি বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ। নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে হুমকির মুখে স্থানীয়দের কয়েক বসত বাড়ি। আরও ৩৭ নং জাতীয় সড়কের এই নদী ভাঙন এলাকা এলাকার রাস্তার পীচ তলিয়ে গিয়ে পুরো ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এছাড়া নদীর তীরে সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে একটি পেট্রোল পাম্প। ভাঙনস্থল থেকে ১০০ মিটার দূরে জাতীয় সড়ক ও রেলপথ রয়েছে। স্থানীয়রা আরও জানান, শুকনোর মরশুম চলে যাচ্ছে। কয়েকদিন পর আসবে বর্ষা। আর তখনই চোখ রাঙাবে বরাক নদীর রাক্ষুসে ভাঙন। তাই দ্রুত বিভাগীয় তরফে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিস্তীর্ণ এলাকা। তাই এ ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় বাসিন্দারা জলসম্পদ বিভাগের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।