অনলাইন ডেস্ক : না ফেরার সফরে পাড়ি দিলেন বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ, সমাজকর্মী আইনজীবী মোজাম্মিল আলী লস্কর। বৃহস্পতিবার সকাল ১১-১৫ নাগাদ সোনাই রোডস্থিত নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে মোজাম্মিল আলী লস্করের বয়স হয়েছিল ৮৪। রেখে গেছেন স্ত্রী রৌশান আরা লস্কর সহ দুই ছেলে এবং তিন মেয়েকে। বড় ছেলে হাসান মহম্মদ সারওয়ার আইজল এনআইটিতে কর্মরত এবং ছোট ছেলে হুসেন মহম্মদ আরিফ একজন ব্যবসায়ী। ছেলেদের মত উনার মেয়েরাও বেশ সু – প্রতিষ্ঠিত। বড় মেয়ে লুসি লস্কর একজন চিকিৎসক, দ্বিতীয় মেয়ে আল মহসিনা হলেন অধ্যাপক। আর ছোট মেয়ে আল মোমিনা মোজাম্মিল হলেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁর মৃত্যুতে পরিচিত মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৯৪০ সালের ১৪ জানুয়ারি কনকপুরের এক শিক্ষিত পরিবারে জন্ম মোজাম্মিল আলী লস্করের। পড়াশোনা এই কবি সাহিত্যিকের শহরেই। আইনজীবী হিসেবে শিলচর বার লাইব্রেরিতে দীর্ঘদিন মামলা মোকাদ্দমা লড়েছেন। অবশ্য উনার বিচরণ বার লাইব্রেরি অবধিই সীমিত ছিল না। রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। ছিলেন আসাম প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক। তাছাড়া শিলচর মহকুমা পরিষদের চিফ কাউন্সিলর পদও অলংকৃত করেছেন। সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষাতেও তাঁর ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। মোজাম্মিল আলী লস্করের রক্তের প্রত্যেক শিরা উপশিরাতে ছিল সাহিত্যের বাস। শত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও নিয়মিত লেখালেখি করতেন তিনি। পেশাগত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও সাহিত্যচর্চা অব্যাহত রাখেন তিনি। উনার দশটি গ্রন্থ পাঠক সমাজে বেশ সমাদৃত হয়েছে। সাহিত্য কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ রাজ্য সরকার মোজাম্মিল আলী লস্করকে ২০১২ সালে সাহিত্যিক ভাতা প্রদান করে। এছাড়াও ১৯৭১ ইংরেজিতে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি তাকে Friends of Liberation War Honour সম্মাননা দিয়ে সম্মানিত করেছেন।