অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বমঞ্চে ফের ভারতের জয়জয়কার। অস্কারের মঞ্চে বিশ্ববাসীর নজর ফের পড়লো ভারতীয় সিনেমার দিকে। রাজামৌলির ‘ আর আর আর ‘ ছবির ‘ নাটু নাটু ‘ গানটি সেরা মৌলিক গানের পুরস্কার ছিনিয়ে নেয়। অপরদিকে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র বিভাগে অস্কার পেয়েছে ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’।
ছোট থেকে বড় হয়েছেন ছুতোর মিস্ত্রির আওয়াজ শুনে। সেই সঙ্গীত পরিচালক আজ অস্কারের মঞ্চে। সেরা মৌলিক গানের বিভাগে অস্কার জিতে নিলেন এম এম কীরাবাণী। তেলুগু ছবির ইতিহাসে নজির গড়ে অস্কার জিতল ‘আরআরআর’ ছবির গান ‘নাটু নাটু’।এর আগে ‘গোল্ডেন গ্লোব’ ও ‘ক্রিটিক্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ জিতে দৌড়ে এগিয়ে ছিল ‘নাটু নাটু’। একাধিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে টেক্কা দিয়েছে রিহানা, লেডি গাগার মতো তাবড় পপ তারকাদের। মনোনয়নের তালিকায় ছিল ‘টেল ইট লাইক আ ওম্যান’ ছবির ‘অ্যাপ্লজ়’ গানটিও। ‘টেল ইট লাইক আ ওম্যান’ অ্যান্থোলজির একটি ছবিতে দেখা গিয়েছিল ভারতীয় অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়কে। সেই সব গানকে টেক্কা দিয়ে চূড়ান্ত দৌড়ে জয় ছিনিয়ে নিল চন্দ্র বোস ও এম এম কীরাবাণীর সৃষ্টি।
এরআগে ৯৫তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে ভারতের হয়ে প্রথম অস্কার পেল ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’। সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিল গুনীত মোঙ্গা প্রযোজিত এই ছবি। ‘হাউ টু মেজ়ার আ ইয়ার’, ‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’ এর মতো ছবিকে টেক্কা দিয়ে অস্কার জিতে নিল তামিল ভাষার এই তথ্যচিত্র। ভারত থেকে এ বছর ছিল তিন-তিনটি মনোনয়ন। এস এস রাজামৌলীর
‘আরআরআর’ ছবির ‘নাটু নাটু’ গানটিও মনোনীত সেরা গানের বিভাগে। ফিচার তথ্যচিত্র বিভাগে ছিল বাঙালি পরিচালক শৌনক সেনের ছবি ‘অল দ্যাট ব্রিদ্স’। যদিও জিততে পারেননি শৌনক। এই জয়ের পর ইনস্টাগ্রামে গুনীত লিখেছেন, ‘‘এই জয় সব নারীর জন্য। ‘
এ বছর গুনীত মোঙ্গা প্রযোজিত এবং কার্তিকি গনসালভেস পরিচালিত ‘দ্য এলিফেন্ট হুইস্পারার্স’, প্রথম কোনও ভারতীয় ছবি যা অস্কার আনল ভারতে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বেশ কিছু ভারতীয় তথ্যচিত্র মনোনীত হয়েছিল এই বিভাগে। তবে শেষমেশ অস্কার এল দুই নারীর হাত ধরে। হস্তীশাবক রঘু ও দুই মাহুতের জীবনযাপন ঘিরে এই গল্প। এক দুর্ঘটনার পরে রঘুকে নিয়ে আসা হয় বোমান ও বেলির কাছে, যাঁরা তার ক্ষত সারিয়ে পালন-পোষণ করে বড় করে তোলে। বোমান ও বেলির গোটা জীবটাই আবর্তিত এই হস্তীশাবককে ঘিরে। তিন ত্রয়ী পারস্পরিক রসায়নকে পর্দায় তুলে ধরেছেন পরিচালক কার্তিকি গনসালভেস। প্রযোজনার দায়িত্ব সামলেছেন গুনীত মোঙ্গা। ছবি দেখা যাচ্ছে নেটফ্লিক্সে।