অনলাইন ডেস্ক : জীবন থেকে মুক্তি পেতে। তা সত্ত্বেও অনেক নারীরা কিন্তু চায় অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতে । করতে চায় গতানুগতিক জীবন যাপন। তাই আজকাল সোশ্যাল মিডিয়াতে দরকার হয় তাদের শরীর প্রদর্শনের। দরকার হয় যৌন আবেদন মুখর পোশাক – পরিচ্ছদ পরার। কাটা – ফাটা পোশাক পরার। আর তাছাড়া এটাও তো ঠিক, সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের শরীর প্রদর্শনের কারণ তো একটাই, শরীর দেখে মুগ্ধ হয়ে নিত্য নতুন ছেলেরা ইনবক্সে ম্যাসেজ করবে, যোগাযোগ রাখবে, আর তার পরেই শুরু হবে প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন প্রেম লীলা। তাই আমি পালাব আর কার সঙ্গে ? এসব ভাবলে বিয়ে করার ইচ্ছেই আর থাকে না, পালানো তো দূরের কথা। কারণ বেশিরভাগ নারীরা এখন শরীর প্রদর্শন করতে ব্যস্ত। কেউ বা ব্যস্ত চ্যাটিং – এ, ডেটিং- এ। তবে যদিও কেউ কেউ হয়তো সোশ্যাল মিডিয়াতে শরীর প্রদর্শন হয়তো করছে না কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে গেছে সে । দিনরাত একের পর এক ছেলের সঙ্গে ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ করছে। ডেটিং এ যাচ্ছে। কেউ কেউ এগুলো করেও পয়সা ইনকাম করছে। তাছাড়া এটাও তো ঠিক, মানবভ্রুণ সৃষ্টির পেছনে থাকে নারী – পুরুষের বিকৃত যৌনতা। কিন্তু দেখুন,আমরা শুধু প্রেম প্রেম বলে লাফাচ্ছি। কেউ বা বিচ্ছেদের বেদনায় কষ্ট পাচ্ছি। প্রেম যদি সত্যি এমন হয় তাহলে গণিকার সঙ্গে প্রেমিকার পার্থক্য কোথায় বুঝে উঠতে পারি না। তাই এই ফাগুনী পূর্ণিমা রাতে পালাব আর কার সঙ্গে ,’যে মেয়েটা রোজ রাতে বদলায় হাতে হাতে’ – তার সঙ্গে ? সত্যিই দিনকাল খুব খারাপ। বেশিরভাগ মেয়েদের মানসিকতার এখন অনেক পরিবর্তন ঘটে গেছে। ভাসছে তারা স্বাধীনতার ভেলায় । যার পরিণতি বিচ্ছেদ, নতুন প্রেম সম্পর্ক, লিভ ইন সম্পর্ক, ডিভোর্স , পরকীয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
তার ওপর আজকাল রিল ভিডিও গুলোতে কিছু কিছু ধাড়ি মেয়েদের ন্যাকামো দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যায় । তাদের ড্রেসের কথা তো ছেড়েই দাও। তাদের বেশিরভাগ ড্রেস এখন যৌন আবেদন মুখর। এত ছোট ছোট ড্রেস পরে তারা কেমন করে যে মোবাইলের সামনে দাঁড়ায় তাই আমি ভাবি। ক্যামেরাটা বা কাকে দিয়ে করায় তাও তো প্রশ্ন। সত্যি, পারলে তারা বোধহয় সব খুলে ফেলে উলঙ্গ হয়ে রিল ভিডিও বানিয়ে ফেলে। কিন্তু মাঝে মধ্যে আমার মনে হয়, যেসব মেয়েরা বা মহিলারা রিল ভিডিও বানাচ্ছেন তাদের বাড়িতে কী বাবা – ভাই – কাকা বা নিজের পুত্র সন্তান কেউ নেই ? তাঁরা কি মোবাইল ব্যবহার করেন না ? তাঁরা কি এসব ভিডিও দেখতে পায় না ? সত্যি তাঁদের বাড়ির শিক্ষা – দীক্ষা, কালচার, জীবন যাপনের মান কেমন তাই ভাবি। কেমন বা তাদের বাবা মা। তাছাড়া মানুষের রুচি কত নিম্ন মানের হলে এসব ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছাড়ে। তাই আমার ব্যক্তিগত মতামত, শরীর দেখিয়ে বা শরীর বেচে কারোর যদি পয়সা ইনকামের ইচ্ছে থাকে তাহলে তো ঠোঁটে রঙ মেখে রাতের বেলা লাইট পোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে গেলেই হয়। অনেক খদ্দের চলে আসবে। খদ্দেরের অভাব হবে না আর। এতে সমাজটাও দূষিত হবে কম। কারণ শুধু প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেরা তো আজকাল মোবাইল ঘাঁটে না, মোবাইল ঘাঁটে বাড়ির ছোট ছোট বাচ্চারাও । তাই এই সমস্ত নিষ্পাপ শিশুদের মনে খারাপ প্রভাব ফেলার অধিকার কারোর আছে বলে আমার মনে হয় না। আমার মনে হয়, যারা উল্টোপাল্টা রিল ভিডিও বানাচ্ছে খুব শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া খুব জরুরি। নাহলে সমাজে চরম অবক্ষয় নেমে আসবে। তাছাড়া এগুলোর কারণেই তো এখন কলুষিত হচ্ছে ভারতীয় সংস্কৃতি । কলঙ্কিত হচ্ছে কিছু পবিত্র নারী , কলঙ্কিত হচ্ছে ভারতীয় পুরাণ ও দেব – দেবী। যে কারণে নারী যেন এখন শুধু যৌনতার প্রতীক আর দেহসর্বস্ব সাকার অস্তিত্ব হিসেবেই সমাজে বেশি বেশি করে উপস্থাপিত হচ্ছে । তাই মেয়েদের মানসিকতা পরিবর্তন করা সত্যিই খুব জরুরি। তাই পালাব আর কার সঙ্গে । ‘যে মেয়েটা রোজ রাতে বদলায় হাতে হাতে’ তার সঙ্গে ?