অনলাইন ডেস্ক : স্বচ্ছতা ও দুর্নীতিমুক্ত শাসনের কথা মুখে বললেও বিজেপির কথায় ও কাজে মিল নেই এ রকম অভিযোগ ভুক্তভোগী জনগণের। বিজেপি শাসনকালে অসমে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি চলছে জল জীবন মিশন প্রকল্প নিয়ে,এ রকম অভিযোগ শোনা যায় বদরপুরের বিভিন্ন এলাকায়। জল জীবন মিশনের কাজে নানা দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে না। এতে সচেতন নাগরিকের ধারণা, উপর মহল থেকে শুরু করে বিভাগের একেবারের নিচের স্তর পর্যন্ত সবকিছু বোঝাপড়ার মাধ্যমে চলছে। ফলে কোনও অভিযোগ কাজে আসছে না। পিএইচই-র বদরপুর সাব ডিভিশনের অধীনে প্রায় ২৩টি প্রকল্পে কাজের ঠিকা পেয়েছে টিএনটি নামের একটি সংস্থা।তারা মনগড়াভাবে প্রতিটি প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ জনগণের সামনে তাদের যে নির্দেশ দিয়ে যান ঠিকাদার সংস্থার কর্মকর্তারা তাতে কোনও পাত্তাই দেন না। বেশিরভাগ প্রকল্পে জোড়াতালি দিয়ে কাজ চলছে।এর জ্বলন্ত উদাহরণ ভাঙ্গার নন্দপুর পানীয়জল প্রকল্প। এই প্রকল্পে জল জীবন মিশন প্রকল্প থেকে প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।কিন্তু কাজের হিসেব করলে এখানে ২০ লক্ষ টাকাও ব্যয় হয়নি বলে অভিযোগ এলাকার সচেতন নাগরিকদের। বর্তমানে কুশিয়ারা নদী থেকে জল আনার জন্য যে পুরনো দিনের পাইপলাইন সেটাই ব্যবহার করা হচ্ছে।প্রায় কুড়ি বছরের পুরনো পাইপলাইন দিয়ে প্রকল্পে জল নিয়ে আসার জন্য আজ এক সপ্তাহ ধরে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু কয়েক হাত পর পরই পাইপে ফুটো বের হচ্ছে। ঠিকাদার সেই পুরনো পাইপে জোড়াতালি দিয়ে জল সরবরাহ করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।অথচ এখানে নতুন পাইপ বসানোর কথা। এ নিয়ে জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।নন্দপুর এলাকার জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলেছেন,পাইপলাইনের কাজ নতুনভাবে না করলে তারা কোনওভাবে প্রকল্পের উদ্বোধন হতে দেবেন না। ঠিকাদাররা চাইছেন কোনওভাবে জোড়াতালি দিয়ে প্রকল্পটি বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের হাতে সমঝে দিতে পারলেই হলো,পরে সাধারণ মানুষ পানীয়জল পেলেন কি পেলেন না তাতে ঠিকাদারের কিছু যায় আসে না।জনগণের মতে,নদী থেকে আসা জল তোলার পাইপটি সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া পাইপলাইন বসাতে গিয়ে যেসব রাস্তা খারাপ হচ্ছে সেটা উদ্বোধনের আগেই মেরামত করে দিতে হবে। এলাকার জনগণ পুরনো পাইপলাইন পরিবর্তন করা এবং রাস্তা সংস্কার করে না দেওয়া পর্যন্ত প্রকল্পের উদ্বোধন হতে দেবেন না বলেও হুমকি দিয়েছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে,প্রকল্পের আশপাশে থাকা বাড়িগুলোতে আজ পর্যন্ত পানীয়জলের লাইনের সংযোগ দেওয়া হয়নি। নন্দপুর এলাকার জনগণ বলেছেন,এই প্রকল্পে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে,কোন কোন খাতে কত টাকা ব্যয় হয়েছে সেটার হিসেব পেতে প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হতেও পিছপা হবেন না তারা।