অনলাইন ডেস্ক : বিগত দিনেও শিলচর অফিসপাড়া ও সংলগ্ন এলাকার কিছু ছাপাখানাকে ঘিরে নথিপত্র জালিয়াতির একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহ জেগে উঠে, নথিপত্র জালিয়াতির পেছনে রয়েছে কোনও চক্র। এবার জিয়াউদ্দিন লস্কর নামে এক আইনজীবী তথা নোটারির সিল-স্বাক্ষর জাল করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন সন্দেহ আরও বদ্ধমূল হয়ে উঠেছে।
জিয়াউদ্দিন এনিয়ে সদর থানায় দায়ের করেছেন এজাহার। তিনি জানিয়েছেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি শিলচর শিবকলোনি এলাকার সরকার পদবীর এক ব্যক্তি তার কাছে একটি নথি নিয়ে আসেন। ওই ব্যক্তি তাকে জানান, ২০২২ সালের ৫ নভেম্বর তিনি (জিয়াউদ্দিন) নাকি ওই নথি “নোটারাইজ” করেছেন। এরপর এসব নথি কাজের সূত্রে জমা দেওয়া হয়েছিল ডাকঘরে। কিন্তু নথিতে কিছু ভুল থেকে যাওয়ায় কাজ হয়নি, তা ফের সংশোধন করে দিতে হবে। একথা জানিয়ে সরকার পদবীর ব্যক্তিটি তা সংশোধন করে দেবার অনুরোধ জানান।
কিন্তু নথি খতিয়ে দেখে জিয়াউদ্দিন চমকে উঠেন। তিনি দেখতে পান তার নামে “নোটারাইজেশন” করা হলেও সিল এবং স্বাক্ষর মোটেই তার নয়। জালিয়াতির ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে উঠায় তিনি তখন সরকার পদবীর ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করেন এমন “নোটারাইজেশন” কাকে দিয়ে করিয়েছেন। তখন ওই ব্যক্তি জানান, অফিস পাড়া সংলগ্ন গৃহরক্ষী বাহিনীর কার্যালয়ের বিপরীত দিকে থাকা এক ছাপাখানার মালিককে তিনি দিয়েছিলেন নথি। নাজির নামে ছাপাখানার ওই মালিক “নোটারাইজেশন” করিয়ে দেবার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে নাজিরই তাকে সবকিছু করিয়ে নথি সমঝে দেন।
জিয়াউদ্দিন বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ওই নথিতে কিছু ভুল না থাকলে তিনি তো ব্যাপারটা জানতেই পারতেন না। কারণ তখন সরকার পদবীর ওই ব্যক্তি সংশোধনের জন্য আসতেনই না তার কাছে। সঙ্গে তিনি এও বলেন, এমন ব্যাপার হয়তো ঘটছে অহরহ। তাই ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে তিনি থানায় দায়ের করেছেন এজাহার। পুলিশ জানিয়েছে, এজাহারের ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু হয়েছে।