অনলাইন ডেস্ক : ডিলিমিটেশন নিয়ে সরকারের মানসিকতার কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়ে দলের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে বলে জানালেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। তিনি বলেন, ডিলিমিটেশন হলেই যে বিজেপি জিতবে,আর কংগ্রেস হেরে যাবে এমন বিষয় নয়। এ নিয়ে সময় কথা বলবে। ডিলিমিটেশন হয়ে যাওয়ায় নির্বাচনে জয়ী হওয়ার চিন্তায় মত্ত বিজেপির নেতারা। করিমগঞ্জ প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘আজকের অতিথি’ অনুষ্ঠানে রবিবার যোগ দিয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শাসকদলকে তুলোধুনা করেছেন কমলাক্ষ অতিরিক্ত আবর্ত ভবনে প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ‘আজকের অতিথি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে মত ব্যক্ত করেন বিধায়ক। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিধায়ককে উত্তরীয়,স্মারক উপহার ইত্যাদি তুলে দেন প্রেসক্লাবের সভাপতি মিহির দেবনাথ,সম্পাদক অরূপ রায়,অরূপরতন চক্রবর্তী ও জুলি দাস।এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বলেন,সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে রাজ্য সরকার।উন্নয়ন ছেড়ে অন্য বিষয় নিয়ে ব্যস্ত সরকার। ড.হিমন্তবিশ্ব শর্মা নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে গত দেড় বছরে কোনও কাজ হয়নি। শুধু ঘোষণা আর ঘোষণা।এর অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয়নি। বড় কয়েকটি ইস্যু নিয়ে সরকার ঘোষণা করলেও কতটুকু সেটা বাস্তবায়িত হবে সে নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।আগে প্রতি বছর নিজের কেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য বিধায়কদের ফান্ড ছিল। কিন্তু বর্তমানে ফান্ড-এর কোনও বালাই নেই। গত দু’বছরে রাস্তাঘাটের জন্য সিএম প্যাকেজ একবার মঞ্জুর হয়েছে।কিন্তু এখন পর্যন্ত ওয়ার্ক অর্ডার হয়নি।কাজ শুরু হবে মার্চে। ততক্ষণে ২০২২-২৩ অর্থ বছর চলে যাবে। কাজ শেষ হতে ২০২৫ লেগে যাবে।অর্থাৎ পাঁচ বছরে মাত্র একবার অর্থ মঞ্জুর।
এদিনের আলোচনায় স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে বিধায়কের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গটি। তিনি বলেন,আলোচনার যোগ্য বলেই আমাকে নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে ড.হিমন্তবিশ্ব শর্মা যেদিন বিজেপিতে যোগ দেন সেদিন থেকেই তাঁর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন,২০১১ সাল থেকেই বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। তিনি কংগ্রেসে থাকলে তাঁর স্বপক্ষে আরও অনেকের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতাম। কিন্তু বিজেপিতে চলে যাওয়ায় রাজনৈতিক সম্পর্ক রাখা সম্ভব নয়।বরং লড়াই চলছে। কোনও বিষয় নিয়ে সমঝোতা করে চলি না। মানুষের জন্য কথা বলছি।সত্যের জন্য বলেই যাব।এতে আপস করার প্রশ্ন উঠে না। এছাড়া দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয় বলে ভয় পাওয়ার প্রশ্ন উঠে না। করিমগঞ্জের শাসকদলের নেতাদের কড়া ভাষায় সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, শাসকদলের নেতারা হাততালি আর উত্তরীয় দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত।মন্ত্রীরা জেলায় এলে তাদের প্রশ্ন করার অধিকার নেই বিজেপির নেতাদের।ফলে এই অবস্থা। জেলাসদর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে মেডিক্যাল কলেজ চলে গেলেও এই বিষয় সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে নীরব রয়েছেন বিজেপির নেতারা।তাঁর মতে,মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে বিজেপির নেতাদের।