অনলাইন ডেস্ক : কাটলিছড়া সার্কলের ধলেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে মাছ শিকার চলছে। ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বন বিভাগ।ঘাড়মুড়া রেঞ্জে প্রতিদিন রাতে ঘন্টা পাঁচেক সময় মাছ শিকার চলছে। অথচ শিকারিদের হাতে নেই বৈধ নথিপত্র।এভাবে মাছ শিকার নিত্যদিন চললেও বিভাগীয় কর্মীদের হেলদোল নেই। ঘাড়মুড়ায় বন বিভাগের কার্যালয় থাকলেও তারা এ ব্যাপারে মোটেই পাত্তা দিচ্ছেন না। এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছে ছাত্র সংগঠন আসু-র ঘাড়মুড়া বাঘছড়া আঞ্চলিক সমিতি। বুধবার হাইলাকান্দি জেলা বন আধিকারিক অখিল দত্তর কাছে এ নিয়ে অভিযোগ প্রেরণ করেছেন সমিতির পম্পন দাস,বিলাল আহমদ ও ফারুক আহমদ। এর প্রতিলিপি আলাদাভাবে জেলাশাসক এইচএন গৌতম,ঘাড়মুড়ার রেঞ্জার ধ্রুবজোতি দাস সহ বিভাগীয় চিফ কনজারভেটরের কাছে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে,কয়েক মাস ধরে ধলেশ্বরী নদী পুরোটাই অবৈধ মাছ শিকারিরা কব্জা করে ফেলেছে। দক্ষিণ হাইলাকান্দি রাতে যখন শুনশান হয়ে যায় তখন নদীতে অপারেশন চালায় মাছ শিকারিরা। এই মাছ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে খোলাবাজারে পাঁচশো থেকে হাজার টাকা কিলো বিক্রি হচ্ছে। এভাবে মাছ শিকারিরা টাকা রোজগার করছে।দক্ষিণ হাইলাকান্দির দীর্ঘ নদীর তীরে বসবাসকারীরা প্রতিদিন রাতে এই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন। রাতে নৌকায় মহাজাল,বিদ্যুৎ শর্ট করার সরঞ্জাম,হাল্কা লাইট নিয়ে দু’তিনজন সারা রাত শিকার করেন। সবচেয়ে গুরুতর বিষয় হল,অবৈধ শিকারিরা ডিমযুক্ত মাছ শিকার করে বাজারে অবাধে বিক্রি করছে।এদিকে ধলেশ্বরী নদীতে দীর্ঘদিন ধরে টেন্ডার নেই।বিনা টেন্ডারে নদী থাকায় শিকারিদের বাড়বাড়ন্ত। তাই বিনা কাগজে মাছ শিকার বন্ধ করার দাবিতে সোচ্চার হলো ছাত্রসংস্থা। সেইসঙ্গে রেঞ্জারের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আসুর আঞ্চলিক কমিটি। এদিকে এ ব্যাপারে রেঞ্জার ধ্রুবজোতি দাসের প্রতিক্রিয়া জানতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলার মীন বিভাগেরও কোনও হেলদোল নেই এ ব্যাপারে।তাদের মতে,এভাবে ডিমযুক্ত মাছ শিকার অব্যাহত থাকলে মাছের বংশবৃদ্ধি হ্রাস পাবে।