অনলাইন ডেস্ক : পাথারকান্দির বৈঠাখালে জাতীয় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত যুবক রনো সিনহার রহস্যজনক মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ কাণ্ডের রহস্য ভেদ করার দাবি তুলল পাথারকান্দি হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। সেইসঙ্গে এতে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনানুযায়ী কঠোর শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাথারকান্দি থানার ওসি সমরজিৎ বসুমাতারির সঙ্গে দেখা করে তার হাতে একটি স্মারকপত্র তুলে দেন জাগরণ মঞ্চের কর্মকর্তারা।পাশাপাশি স্মারকপত্রের প্রতিলিপি পৃথক পৃথকভাবে পুলিশসুপার ও সার্কল অফিসারের উদ্দেশেও প্রেরণ করা হয়। স্মারকপত্রে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের পাথারকান্দি প্রখণ্ডের কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন,সাম্প্রতিককালে পাথারকান্দিতে দুষ্কৃতীদের দাপট মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।এটা প্রতিহত করতে পুলিশ প্রশাসন পুরো ব্যর্থ । এতে স্বাভাবিকভাবে এলাকার শান্তিপ্রিয় জনগণ ব্যাপক উৎকন্ঠায় দিনযাপন করছেন।এমনি স্থানীয়রা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। রবিবার রাতে বৈঠাখাল এলাকার ঘোষেরঘর এলাকার রনোকে দুষ্কৃতীরা নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে মাথায় প্রহার করে খুন করার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে তার রক্তাক্ত নিথর দেহ উদ্ধার হয় অসম-ত্রিপুরা আট নম্বর জাতীয় সড়কের একটি কালভার্টের পাশ থেকে। দুষ্কৃতীরা তাকে হত্যা করে তার স্কুটি সহ মরদেহ কালভার্টের নিচে ফেলে দুর্ঘটনার রূপ দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে বলে স্মারকপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।। পাশাপাশি তার দোকানের মেঝে ও সড়কে ছিল তাজা রক্তের দাগ। এটা যে নিছক খুনজনিত কাণ্ড তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পরে প্রশাসনিক কর্তারা ডগ স্কোয়াড নিয়ে তদন্তে নেমে এতে জড়িতদের শীঘ্র পাকড়াও করার আশ্বাস দিলেও এ পর্যন্ত এতে জড়িত কাউকে পুলিশ আটক করতে পারেনি। এতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকার সচেতন মহলে নানা প্রশ্নচিহ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্মারকপত্রে সংস্থার পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন সুদীপ পাল,অনিরুদ্ধ নাথ প্রমুখ।উল্লেখ্য,ক’মাস আগে অনুরূপভাবে পাথারকান্দি তিনখাল এলাকায় পঞ্চমী সিনহা নামের এক যুবতী খুন হন। তার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ বাড়ির পাশের ক্ষেতের জমি থেকে উদ্ধার হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও ঘটনাটির প্রকৃত রহস্য আজও উদ্ঘাটন হয়নি।