অনলাইন ডেস্ক : গুণোৎসব ২০২৩কে কেন্দ্র করে ব্যাপক তৎপরতা চলছে হাইলাকান্দি জেলায়।রাজ্য স্তরে দ্বিতীয় পর্যায়ের গুণোৎসবের প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন জেলা ও ব্লক পর্যায়ের আধিকারিক সহ মাস্টার ট্রেনাররা। এবার জেলা পর্যায়ে লিয়াসন এবং এক্সটার্নালদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।শুক্রবার একদিনের জেলাস্তরে সিআরসিসিদের (মণ্ডল সমল কেন্দ্র সমন্বয়ক) প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়। হাইলাকান্দি হরকিশোর হায়ার সেকেণ্ডারি স্কুলে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) ও সমগ্র শিক্ষা অভিযানের জেলা সমন্বক ত্রিদীব রায়,জেলার তিন শিক্ষা ব্লকের বিইইও যথাক্রমে হাইলাকান্দির রাজেশ চক্রবর্তী, লালার পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী ও কাটলিছড়ার নজমুল হোসেন লস্কর, ডিপিও (টিট) গৌতম দে, এমডিএম বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ডিপিএম কমলেশজীবন শর্মা সহ প্রমুখ।
অতিরিক্ত জেলাশাসক ত্রিদীব রায় বলেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।শিশুদের অধিকার সুনিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। এই লক্ষ্যে এখন থেকে সিআরসিসি সহ সব শিক্ষকদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। গুণোৎসব অংশগ্রহণ থেকে যাতে কোনও পড়ুয়া বঞ্চিত না হয় তা আগে সুনিশ্চিত করতে হবে। এক এক করে তিনটি গুণোৎসব সম্পন্ন করে এবার চতুর্থ পর্যায়ের কাজে হাত দিচ্ছে হাইলাকান্দি। তাই আগের অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে এবার যাতে হাইলাকান্দি আরও ভাল প্রদর্শন করতে পারে সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে।শিশুদের জন্য বরাদ্দ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা যথাযথভাবে এদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি কোনও আপস করবেন না বলে জানান। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন তহবিলের অর্থ শীঘ্র ব্যবহার করার কথা বলেন। একইসঙ্গে বিদ্যালয়ের তহবিল ব্যবহারে কোনও অনিয়ম ধরা পড়লে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আগামী গুণোৎসবে হাইলাকান্দি জেলার ফলাফল আরও উন্নত করার জন্য সিআরসিসিদের সক্রিয় ভূমিকা নিতে অনুরোধ জানান।
তিনি বক্তব্যে হাইলাকান্দি জেলার শিক্ষার মানোন্নয়নে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন,সর্বশিক্ষা অভিযানের তরফ থেকে প্রতিটি বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরণের অনুদান প্রদান করা হয়। সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়নের জন্য সিআরসিসিদের নিজ নিজ ক্লাস্টার এলাকায় মনিটরিং করার জন্য নির্দেশ দেন। তাছাড়া প্রতিটি অনুদান যাতে সময়মতো সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয় সেজন্য সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে নির্দেশ দেন। তাছাড়া প্রতিটি বিদ্যালয়ে খেলার সামগ্রী যাতে মজুত থাকে তা সুনিশ্চিত করতে সিআরসিসিদের পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশ দেন এডিসি রায়। এ ক্ষেত্রে কোথাও যদি কোনও গাফিলতি নজরে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে বলেন। ছাত্রছাত্রীদের বরাদ্দকৃত ইউনিফর্ম যাতে সঠিক মানের প্রদান করা হয় সে বিষয়ে কড়া নজরদারি রাখার জন্য নির্দেশ দেন। এদিনের সভায় ডিপিও (টিট) গৌতম দে গুণোৎসবের বিভিন্ন দিকনির্দেশ তুলে ধরে আলোচনা করেন। অপরদিকে এদিন প্রথম পর্বে অনুষ্ঠিত পিএম পোষণ নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে পিএম পোষণের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন কমলেশজীবন শর্মা।