অনলাইন ডেস্ক : নদীভাঙন,রাস্তাঘাট সহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত দক্ষিণ বড়খলা তথা রাজনগরের মানুষ।তবে এবার রাজনগর এলাকার মানুষের ভাগ্যোদয় ঘটতে চলছে।ইতিমধ্যে রাজনগর এলাকার প্রধান সমস্যা সমাধানে সরকারি প্রকল্প রূপায়ণ শুরু হয়েছে।বৃহস্পতিবার বহু প্রতীক্ষিত বরাক নদীর মাসিমপুর থেকে কাটাখাল ডাইকের রাজনগর এলাকার ২.৬০ কিলোমিটার অংশের কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বড়খলার বিধায়ক মিসবাহুল ইসলাম লস্কর।পূর্ত বিভাগের আওতায় এই কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বিধায়ক,বিভাগীয় কর্মকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ প্রতিনিধি পুলক দাস।এদিন রাজনগর এলাকার মানুষের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিধায়ক বলেন,টিআরকে সড়কের মানিকপুরে বরাক নদীর ভাঙন দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় মানুষের কাছে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।এই সড়ক শুধু বড়খলা নয় কাটিগড়া হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। নদী ভাঙনের ফলে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন পরিস্থিতিতে রাজনগর সহ বৃহত্তর দক্ষিণ বড়খলার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানিয়ে মিছবাহুল বলেন,শীঘ্রই মানিকপুর ভাঙনস্থলে বিকল্প সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।সেইসঙ্গে তিনি জানান,হাতিরহাড়-মানিকপুর সড়কের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে।এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এ ডাইক নির্মাণের তুলে ধরে এটাকে দক্ষিণ বড়খলার মানুষের ভাগ্যোদয় হিসেবে আখ্যা দেন বিধায়ক মিসবাহুল।এদিন বিধায়ক মিসবাহুল ও সাংসদ প্রতিনিধি পুলক দাস আশা ব্যক্ত করেন,কাজের বরাতপ্রাপ্ত কোম্পানির নেতৃত্বে স্বচ্ছতার সঙ্গে শীঘ্রই কাজ সম্পন্ন হবে।এদিন ভিত্তিপ্রস্তর উপলক্ষে আয়োজিত সভার শুরুতে কাজের খতিয়ান ও নিয়মাবলী তুলে ধরেন বিভাগীয় কার্যবাহী বাস্তুকার রফিক আহমদ চৌধুরী। কাজ স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় স্বচ্ছভাবে হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।তবে বিধায়ক সহ বিভাগীয় একঝাঁক লোককে মঞ্চে রেখে স্থানীয় এক ব্যক্তি মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিভাগীয় কর্তার এই বক্তব্যে পাল্টা তোপ দাগেন।ওই ব্যক্তি বলেন,শুধু জনগণ নয় ঠিকাদার ও বিভাগীয়দের যোগসাজশেই অনেক কাজে হচ্ছে অনিয়ম।তবে এরপর বিভাগীয় তরফে আর কেউ এই বক্তব্যের স্পষ্টীকরণ দিতে এগিয়ে আসেননি।এদিন সাংসদ রাজদীপ রায়ের প্রতিনিধি পুলক দাস বলেন,বড়খলা উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে।সরকার যখন বড়খলার উন্নয়নের দিকে নজর দিয়েছে সেসময় জনগণের সহযোগিতার সঙ্গে উন্নয়নের কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখা প্রয়োজন।আইনুল হক বড়ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা সঞ্চালনা করেন রাজনগর জিপি সভাপতি আলি আহমদ মজুমদার।উপস্থিত ছিলেন পূর্ত বিভাগের বড়খলা-কাটিগড়া রোড টেরিটরিয়াল ডিভিশনের বাস্তুকার কল্লোল নাথ,সাব ডিভিশনের এসডিও সুজিত বৈষ্ণব,জেই জয়দীপ নাথ প্রমুখ।স্থানীয়দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নজরুল ইসলাম বড়ভূইয়া ও অবসরপ্রাপ্ত পূর্ত কর্মচারী মইন উদ্দিন বড়ভূইয়া।উল্লেখ্য,২.৬০ কিলোমিটার এ কাজে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ৩ কোটি ৪৫ লক্ষাধিক টাকা।এ কাজের বরাত পেয়েছে এবিএল কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। কোম্পানির কর্ণধার মঞ্জিল আহমেদ বড়ভূইয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।