ফজরের নামাজের পর শুক্রবার শুরু হল আমান বয়ান। মূলত ইজতেমার নিয়ম অনুসারে আমনবয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। রবিবার আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে প্রথম দফার বিশ্বইজতেমার শেষ হবে। চার দিন পর দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ধর্মীয় তাবলিগ জামাত। এখন পর্যন্ত ভারতসহ বহু দেশের মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে পৌছেন। ঢাকার অদূরে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ফজর মাওলানা জিয়াউল হকের আমবয়ানের মধ্যদিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। এ ময়দানেই হবে দেশের বৃহত্তম জুমার জামাত। তাতে অংশ নি তে শীতের ভোরে ঢাকা থেকে কেউ পায়ে হেচে ইজতেমা স্থলে রওনা হন। তবে বৃহস্পতিবার ইজতেমা ময়দানে স্থান সংঙ্কুলান না হওয়ায় সড়কে অবস্থা নিয়েছেন হাজারো মুসল্লি। বৃহত্তম জুমার এ নামাজে অংশ নিতে তাবলিগের মুসুল্লি ছাড়াও গাজীপুর ও আশপাশের জেলা থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই ইজতমা ময়দানে মুসল্লিরা অবস্থান নিয়েছেন। বিদেশি মুসল্লিদের বিষয়ে ইজতেমা ময়দানের মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনে ২৮টি দেশের ১৪৬১ জন বিদেশি মুসল্লি ইজতেমা ময়দানের উত্তর-পশ্চিম দিকে তাদের জন্য নির্ধারিত নিবাসে অবস্থান নিয়েছেন। এদের মধ্যে ভারতের ১ হাজার ১২৩ জন, পাকিস্তানের ৮২ জন, মায়ানমারের ১৬ জন ও আফগানিস্তানের ৮ জন বিদেশি মুসল্লি ময়দানে রয়েছেন। উল্লেখ, অতিমারির জন্য গত দুই বছর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়নি। ইজতেমায় বিশ্বের প্রায় শতাধিক দেশ থেকে দাওয়াত ও তাবলিগে নিয়োজিতরা উপস্থিত হন। ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী বিদেশিদের জন্য সার্বিক নিরাপত্তামূল ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারেও বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের উত্তর পাশে আলাদা মেহমানখানা রয়েছে। ইজতেমা উপলক্ষে কিংবা দাওয়াত ও তাবলিগের উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে যে কোনো মেহমান আসলেই বিমানবন্দর থেকে কাকরাইল মসজিদের নিজস্ব ব্যবস্থা রয়েছে।