অনলাইন ডেস্ক : অসমের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নয়টি জেলার ৭২৫ জন খেলোয়াড়দের উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গুয়াহাটির সরুসজাই স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে সীমান্ত ক্ৰীড়া মহোৎসব-২৩। তিনদিবসীয় ক্রীড়া প্ৰতিযোগিতার বুধবার ছিল দ্বিতীয় দিন। এদিন প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন সীমান্ত ক্ৰীড়া মহোৎসব-২৩-এর সাধারণ সম্পাদক মৃদুলকুমার শর্মা। ভোর পাঁচটায় মার্চপাস্টের পর সকাল ছয়টায় শুরু হয় শিখা পরিভ্রমণ। এর পর যথাক্রমে সাড়ে ছয়টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের ক্রীড়া সহ বিভিন্ন কার্যক্রম। ১২ জানুয়ারিও একইভাবে প্রাতঃসমাবেশ, ব্যায়াম অনুশীলন এবং বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে গুয়াহাটির সরুসজাই স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে তিনদিবসীয় ক্রীড়া মহোৎসব-২৩। সীমান্ত চেতনা মঞ্চ পূৰ্বোত্তর অসম রাজ্য সমিতির উদ্যোগে চলমান অসম ভিত্তিক এই প্ৰতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমান্তবৰ্তী দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর, ধুবড়ি, কোকরাঝাড়, চিরাং, বাকসা, ওদালগুড়ি, তামুলপুর, কাছাড় এবং করিমগঞ্জ এই নয়টি জেলায় ইতোপূর্বে সম্পন্ন জেলাস্তরে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্ৰতিযোগিতায় সফল মোট ৭২৫ জন প্ৰতিযোগী এতে অংশগ্রহণ করেছেন। ওই নয়টি ৯টি জেলায় অনুষ্ঠিত জেলাস্তরীয় প্ৰতিযোগিতায় মোট আট হাজার যুবক-যুবতী অংশগ্ৰহণ করেছিলেন।
রাজ্যের আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী যুবক-যুবতীদের ক্ৰীড়া প্ৰতিভা বিকাশের লক্ষ্যে সীমান্ত চেতনা মঞ্চ পূৰ্বোত্তরের অসম রাজ্য সমিতি আয়োজন করেছে এই ক্ৰীড়া মহোৎসব। ২০২২ সালে প্ৰথমবারের মতো ক্ৰীড়া মহোৎসবের আয়োজন করা হয়ছিল। এবার দ্বিতীয় বছরে পা দিয়ে দিয়েছে রাজ্য ভিত্তিক এই ক্রীড়া প্ৰতিযোগিতা। প্ৰতিযোগিতায় প্ৰতিযোগীরা ১০০/২০০/৮০০/১৫০০ মিটারে দৌড়, ৪x১০০ মিটার রিলে দৌড়, হাইজাম্প, লং জাম্প, শটপুট, জেভেলিন থ্ৰো, দিসকাস থ্ৰো, ফুটবল এবং কাবাডি খেলায় অংশগ্রহণ করছেন।
মঙ্গলবার বিকাল ৪.৩০টায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্ৰীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অসম ক্ষেত্ৰ সহ-ক্ষেত্ৰ প্ৰচারক বশিষ্ঠ বুজরবরুয়া এবং মন্ত্ৰী অশোক সিংঘল। সীমান্ত ক্ৰীড়া মহোৎসব-২৩-এর সাধারণ সম্পাদক মৃদুলকুমার শৰ্মা কর্তৃক পরিচালিত অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী কার্যসূচিতে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনআইআরডি এবং পঞ্চায়েতরাজের অধিকর্তা আর মুরুগেশণ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির ‘হান্স কালচালাল সেন্টার’-এর অপারেশনাল হেড বিকাশ বাৰ্মা এবং অসম পুলিশের ডিএসপি তথা অৰ্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত নয়নমণি শইকিয়া। মাৰ্চপাস্টের পর অতিথিবৃন্দের হাতে প্রদীপ প্ৰজ্বলনের মাধ্যমে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল কার্যসূচি শুরু হয়।