অনলাইন ডেস্ক : দেরিতে হলেও লোয়াইরপোয়া কান্ডের খোঁজ নিলেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। পাথারকান্দির প্রাক্তন বিধায়ক মনিলাল গোয়ালা ও জেলা কংগ্রেসের সভাপতি রজত চক্রবর্তী সহ কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দলকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার দুপুরে বিধায়ক কমলাক্ষ লোয়াইরপোয়ায় ভিনধর্মী কিশোরের হাতে খুন হওয়া বজরং দলের কর্মী শম্ভু কৈরীর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নেন। পাশাপাশি এই হত্যাকান্ডের জেরে এদিন রাতের হিংসায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া স্থানীয় মুসলিম ব্যবসায়ী পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেন। পরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিধায়ক এই হত্যাকান্ডের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বজরং দলের কর্মী শম্ভু কৈরীকে খুনের সঙ্গে জড়িত অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান প্রশাসনের কাছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি রবিবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ হাইলাকান্দি থেকে বজরং দলের তিন দিবসীয় প্রশিক্ষণ শেষে সহপাঠিদের সঙ্গে মধু কৈরীর একমাত্র পুত্র শম্ভু কৈরী লোয়াইরপোয়াতে পৌছে গাড়ি থেকে নেমে বাড়িমুখো হলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় স্থানীয় মনাই মিয়ার পুত্র এনামুল হক (সেলিম) নামের এক কিশোর। ধারালো অস্ত্রের কোপে মারাত্মক ভাবে জখম হয় শম্ভু।পরে স্থানীয় জনগণ তাকে উদ্ধার করে মাকুন্দা খ্রিষ্টিয়ান লেপ্রসি এন্ড জেনারেল হসপিট্যালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই কান্ডের জেরে এদিন রাতে লোয়াইরপোয়া মটর স্টেন্ড এলাকায় উত্তেজনা দেখা। উত্তেজিত জনতা ঘাতকের বাড়ি সহ অন্য ব্যবসা প্রতিষ্টানে ভাংচুর চালায়।পরে বাজারিছড়া থানার পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মাঠে নেমে ঘাতক কিশোর এনামুল হক (সেলিম)কে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।