অনলাইন ডেস্ক : বরাক সফরে আসছেন ঠাকুর অনুকূলচন্দ্ৰের উত্তরসূরি পরম পূজ্যপাদ আচাৰ্যদেব অৰ্কদ্যুতি চক্রবৰ্তী৷ ২১ জানুয়ারি আসবেন তিনি৷ ফিরে যাবেন ২৪ জানুয়ারি৷ সৎসঙ্গের ইতিহাসে প্ৰথমবারের মতো দীক্ষাদান করতে আসছেন কোনও আচাৰ্যদেব৷ তাঁর আগমন ঘিরে শিলচর সহ বরাকের বিভিন্ন সৎসঙ্গ আশ্ৰমে শুরু হয়েছে জোর প্ৰস্তুতি৷
আচাৰ্য হওয়ার আগে পরমপূজ্যপাদ অৰ্কদ্যুতি চক্রবৰ্তী দেশজুড়ে ৫ লক্ষ মানুষকে দীক্ষাদান করার সঙ্কল্প নিয়েছিলেন৷ ইতিপূৰ্বে প্ৰায় ৪ লক্ষ ৮৯ হাজার দীক্ষা হয়ে গেছে৷ বাকি ১১ হাজার দীক্ষাদান বরাক সফরে সম্পূৰ্ণ করবেন আচাৰ্যদেব৷ সফরকালে তিনি দীক্ষা এবং স্বস্তয়নী মন্ত্ৰ দেবেন৷ উপত্যকার সৎসঙ্গীদের ধারণা, এবার দীক্ষাদান অনুষ্ঠান বরাক উপত্যকার বিগত দিনের রেকৰ্ড ছাড়িয়ে যাবে৷ এগারো হাজারের বেশি দীক্ষা হবে৷
এর আগে ২০১৯ সালে হাইলাকান্দিতে দীক্ষাদান কৰ্মসূচিকে ঘিরে বরাক সফরে আসার কথা ছিল আচাৰ্যদেবের৷ তখন ‘সিএএ’ আন্দোলন চলছিল সারা রাজ্য জুড়ে৷ তাই সফর বাতিল হয়৷ ২০২০ সালে আচাৰ্যদেবের দীক্ষাদান কৰ্মসূচিকে সামনে রেখে ফের প্ৰস্তুতি শুরু হয়৷ তখন কোভিডের ভয়াবহতার জন্য পরিস্থিতি জটিল হয়৷ বাতিল হয় সফর৷
কোভিড পৰ্ব কাটিয়ে ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে ভক্তদের জমায়েত শুরু হয় দেওঘরে৷ আচাৰ্যদেবের বরাক সফরের জন্য নতুন তারিখ ঠিক হয়৷ সফরে বরাকের তিন জেলায় দীক্ষাদান করবেন আচাৰ্যদেব৷ তবে এটাই হবে তাঁর শেষ দীক্ষাদান৷ সফরে শিলচর সহ উধারবন্দ, কালাইন, চাতলা এবং ধলাইয়ে দীক্ষা দেবেন আচাৰ্যদেব৷ করিমগঞ্জ জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে, করিমগঞ্জ, লোয়াইরপোয়া সুপ্রাকান্দি, রামকৃষ্ণনগর, কালীবাড়ি, বদরপুর ইত্যাদি৷ এছাড়া হাইলাকান্দি এবং কাটলিছড়ায় দীক্ষা কৰ্মসূচিতেও অংশ নেবেন তিনি৷ করিমগঞ্জ সফরকালে করিমগঞ্জ সৎসঙ্গ বিহারের নবনির্মিত মন্দির উদ্বোধনের কর্মসূচিও রয়েছে তাঁর।
২১ জানুয়ারি বিমানযোগে কুম্ভীরগ্ৰাম এসে উধারবন্দ, কালাইন হয়ে করিমগঞ্জে যাবেন আচাৰ্যদেব৷ করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দি সফর সেরে ফের শিলচর আসবেন ২৩ জানুয়ারি৷ ২৪ জানুয়ারি বিমানে ফিরে যাবেন তিনি৷ আচাৰ্যদেবের সফরকে স্মরণীয় করে রাখতে তিন জেলায় দীক্ষানুষ্ঠান আয়োজনে তোড়জোড় শুরু হয়েছে৷ আচাৰ্যদেবের এই শেষ দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে দীক্ষা গ্ৰহণ করতে শুধু বরাক নয় অন্যান্য রাজ্য থেকেও অনেক অনুরাগী আসবেন৷ শিলচর সৎসঙ্গ মন্দির কৰ্তৃপক্ষ সূত্ৰে এ খবর জানা গিয়েছে৷