অনলাইন ডেস্ক : এসবিআই কাবুগঞ্জ শাখা ম্যানেজারের আত্মহত্যার পেছনে রয়েছে দুই স্টাফের চাপ। এমন অভিযোগ এনে প্রয়াত ব্রাঞ্চ ম্যানেজার কুলদীপ দাসগুপ্তের মা অলকা দাশগুপ্ত সোনাই থানায় এফআইআর দাখিল করেছেন। রবিবার বিকেলে সোনাই থানায় অডিট অফিসার ও এক সাব স্টাফের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উত্থাপন করেছেন । তিনি উল্লেখ করেন, গত দেড়বছর থেকে ব্যাঙ্কে ওই পোস্টে কাজ করে আসছেন কুলদীপ। পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং নিকটাত্মীয়রা তাকে চরম চাপ ও উদ্বেগের মধ্যে দেখেছেন সবসময়। আলোচনায় তিনি একাধিকবার প্রকাশ করেছেন যে, ওই দুই ব্যক্তি তাকে দায়িত্ব পালনে অসুবিধা ও চাপ সৃষ্টি করছে। এও উল্লেখ করেন, তাকে অন্যায় ও অবৈধভাবে চাপ দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ তাদের। এজাহারে তিনি বলেন, “অভিযুক্ত ব্যক্তিরাই আমার সন্তানকে হত্যা করেছো তারা চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে আত্মহত্যায় বাধ্য করে।’ সঙ্গে তিনি দৃঢ়ভাবে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, যোগেন্দ্ৰ পান্ডে ( চিফ ম্যানেজার – অডিট, এসবিআই) এবং শিবু নাথ (এসবিআই কাবুগঞ্জ শাখার সাব স্টাফ) নামে ওই দুই ব্যক্তি তাদের অপকর্ম লুকানোর জন্য তার ছেলেকে হত্যা করেছে বা তাকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করেছে। চিঠি শেষে তিনি সোনাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে আইনের বিধান অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। এরপর এই ঘটনা নিয়ে এক বড়সড় খবর আসে । কাছাড় পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে যোগেন্দ্র পান্ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের ফলাফলের ভিত্তিতে, হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে কিনা তা পুলিশ সিদ্ধান্ত নেবে। তাকে শিলচর সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং বর্তমানে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শনিবার সকাল সাড়ে নয়টা নাগাদ কার্যালয়ের স্টেশনারি রুমে সিলিঙের হুকে লাল রঙের নাইলন রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বছর আটত্রিশের কুলদীপের দেহ। খবর পেয়ে পৌঁছে সোনাই পুলিশ। পৌঁছেন সোনাই সার্কল অফিসার তথা ম্যাজেস্ট্রেট ডাঃ দীপঙ্কর নাথ। ম্যাজেস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার কুলদীপ দাসগুপ্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে তদন্তের পর ময়নাতদন্তের জন্য শিলচর মেডিক্যালে পাঠানো হয়। আরও জানা যায়, শুক্রবার রাত দশটায় বাকি স্টাফরা চলে গেলেও তিনি কাজ রয়েছে বলে থেকে যান। এবং সকালে একজনের সঙ্গে ফোনে কথাও হয়েছে বলে জানা যায়। শনিবার সকালে ৯ টা নাগাদ ব্যাঙ্কের চৌকিদার শুভেন্দু দাস পৌঁছে ব্যাঙ্ক কার্যালয় খুলে পরিস্কারের কাজ শুরু করেন। ধীরে ধীরে বাকি স্টাফও পৌঁছেন। এরমধ্যে ওই রুমে কোন এক কর্মী পৌঁছলে ঘটনাটি নজরে পড়ে। ঝুলন্ত দেহের সঙ্গে একই রশি দিয়ে ডান পায়ে বাধা রয়েছে ম্যানেজারের। কুলদীপ দাসগুপ্ত শিলচর অম্বিকাপট্টি দুর্গাশঙ্কর লেনের প্রয়াত হীরক দাসগুপ্ত ও অলকা দাশগুপ্তের ছেলে।