সাময়িক প্রসঙ্গ, শিলচর, ১৯ ডিসেম্বর : বরাক ফোরামের উদ্যোগে শহিদ কমলা সুদেষ্ণা স্মৃতি সাহিত্য সম্মাননা-২০২২ প্রদান করা হল হাইলাকান্দি থেকে প্রকাশিত ‘সাহিত্য’ লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক শিখা ভট্টাচার্যকে। এ উপলক্ষে শিলচর বিবেকানন্দ রোডে সৌরমিতা আর্ট গ্যালারিতে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান ও আনন্দ আসরের আয়োজন করা হয় রবিবার।
অনুষ্ঠান শুরু হয় ঋষভ রায়ের গানের মাধ্যমে। সংস্থার আহ্বায়ক দেবরাজ দাশগুপ্ত শহীদ কমলা সুদেষ্ণা স্মৃতির সাহিত্য সম্মাননা প্রবর্তনের পেছনে সংস্থার ভাবনাসমূহ নিয়ে বক্তব্য রাখেন। সম্মাননা প্রাপক শিখা ভট্টাচার্য-র জীবনী নিয়ে প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য সম্পাদক দীপক সেনগুপ্ত। শিক্ষাবিদ গৌরী দত্ত বিশ্বাসও প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন। সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে গঠিত উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শিক্ষাবিদ সৌরিন্দ্র কুমার ভট্টাচার্যর লিখিত শুভেচ্ছাবার্তা পাঠ করা হয়। উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্যও শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। পারিবারিক অসুবিধার কারণে শিখা ভট্টাচার্য নিজে এসে সম্মাননা গ্রহণ করতে অপারগ থাকার কারণে তার প্রতিনিধি হিসাবে তমোজিৎ সাহা সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন এবং শিখা ভট্টাচার্য লিখিত শুভেচ্ছাবার্তা পাঠ করে শোনান। বরাক ফোরামের অন্যতম আহ্বায়ক দীপায়ন পাল সম্মাননা স্মারক পাঠ করে শোনান।
অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন সঞ্জিতা দাস লস্কর ও পাপিয়া শিকদার। আমন্ত্রিত শিল্পী নীলাঞ্জন পাল ও সুদীপ্তা ভট্টাচার্য সংগীত পরিবেশন করেন। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন তমোজিৎ সাহা, শৈলেন দাস, রাজীব ভট্টাচার্য, সৌরভ দে, দেবযানী ভট্টাচার্য, জাহানারা মজুমদার, শর্মী দে, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, স্মৃতি দাস, শুক্লা ভট্টাচার্য, স্নিগ্ধা নাথ প্রমুখ। প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন মানবাধিকারকর্মী কমল চক্রবর্তী, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক দীপেন্দু দাস, সোনাই মাধব চন্দ্র দাস কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সীমা ঘোষ, সোনাই মাধব চন্দ্র দাস কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মতিন লস্কর, ঈশান সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক অমিতাভ সেনগুপ্ত, লেখক দীপংকর ঘোষ, সৌরমিতা আর্ট গ্যালারির পরিচালক শিবানী নাথ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমরবিজয় চক্রবর্তী, হামিদা খাতুন, শিপ্রা দাস, মৃন্ময় নাথ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বরাক ফোরামের অন্যতম আহ্বায়ক দোলনচাঁপা দাস পাল।