সাময়িক প্রসঙ্গ, শিলচর, ১১ ডিসেম্বর : শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের যক্ষা বিভাগের অদূরে রবিবার কিছু রক্ত রাখার প্যাকেট পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখা যায়। এ নিয়ে বর্তমানে শুরু হয়েছে চর্চা। ইতিমধ্যে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে কিছু প্যাকেটে ছিল রক্ত, অন্য কয়েকটি ছিল শূন্য অবস্থায়। কিভাবে এসব প্যাকেট সেখানে গেল এ নিয়ে মেডিকেলের ব্লাড ব্যাংকের ইনচার্জ ডা: রাজীব বিশ্বাসের বক্তব্য জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়ে উঠেনি। তবে মেডিকেলের অন্য এক উচ্চ পদস্থ সূত্র জানান, একটা নির্ধারিত সময়ের পর রক্ত ব্যবহার না হলে তা ফেলে দিতে হয়। আর অনেক সময় রক্ত সংগ্রহের পর পরীক্ষা করে যখন দেখা হয় দাতা ব্যক্তি কোনও সংক্রমক রোগে আক্রান্ত, তখনও তার রক্ত অন্য রোগীকে না দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় নষ্ট করা হয়। এক্ষেত্রে রক্ত অন্য প্রক্রিয়ায় বিনষ্ট করার পাশাপাশি কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। এসবের পাশাপাশি অনেক সময় বিভিন্ন বিভাগে রোগীদের রক্ত দেওয়ার সময়ও দেখা যায় অর্ধেকটা ব্যবহারের পর আর প্রয়োজন পড়ছে না। তাই এদিন যে সব রক্তের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখা গেছে সেসব ঠিক কোথা থেকে এসেছে এ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। সূত্রটি আরও বলেন, বিভিন্ন নার্সিংহোমের নষ্ট হয়ে যাওয়া রক্ত বা ব্যবহৃত অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীও ইনসিনারেটরে প্রক্রিয়াকরণের জন্য পাঠানো হয়ে থাকে মেডিকেলে। তাই এদিন যে সব রক্তের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখা গেছে সেসব যে মেডিকেলের ব্লাড ব্যাংকেরই এ নিয়ে এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। আর ব্লাড ব্যাংকের হলেও, এক্ষেত্রে কোন ও অনিয়ম থাকার সম্ভাবনা প্রায় নাই বললেই চলে। তবুও নিঃসন্দেহ হতে ব্যাপারটা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রটি সঙ্গে এও বলেন, ঘটনার পেছনে থেকে থাকতে পারে কোনও চক্রান্ত। হয়তো মেডিকেলকে বদনাম করার উদ্দেশ্যে ভেতরের বা বাইরের কেউ এভাবে ফেলে রেখেছিল ব প্যাকেটগুলো।তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে তা-ও।