অনলাইন ডেস্ক : একাংশ ভোজ্য তেলের ওজন নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ এবং ক্রেতা বিষয়ক মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করল শিলচর ফুড গ্রেইন্স মার্চেন্ট এসোসিয়েশন।
সম্প্রতি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জেলা কমিশনারের মারফত মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রেরিত স্মারক পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী প্রতি লিটার ভোজ্য তেলের ওজন হওয়া উচিত ৯১০ গ্রাম। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এ অঞ্চলের বাজারে বিক্রি হওয়া কিছু কোম্পানির ১ লিটার পরিমাণ ভোজ্য তেলের ওজন অনেকটাই কম। এভাবে অভিযোগ এনে কিছু নামিদামি কোম্পানির রিফাইনড সয়াবিন তেল ও পামোলিন তেলের ১০টি ব্র্যান্ডের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগ করা হয়েছে ৯১০ গ্রামের স্থলে এসব ব্র্যান্ডের ১ লিটারের প্যাক এর ওজন দেখাচ্ছে অনেক কম। এই দশটি ব্র্যান্ডের মধ্যে একটির প্রতি লিটার প্যাকের সর্বনিম্ন ওজন ৭৭০ গ্রাম। তবে এর মধ্যে কোনও ব্র্যান্ডেরই ১ লিটারের প্যাকেটের ওজন ৮৫০ গ্রামের বেশি নয়।
স্মারকপত্রে এসব উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ক্রেতাদের প্রতারিত না হওয়ার স্বার্থে কোম্পানিগুলো যাতে নির্ধারিত ৯১০ গ্রাম ওজনের প্রতি লিটার প্যাক তৈরি করে এর জন্য ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
ফুড গ্রেইন্স মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা দীপক পাল জানিয়েছেন মন্ত্রীর পাশাপাশি তারা মেট্রোলজি বিভাগ (ওজন এবং পরিমাপ)–এর কর্তৃপক্ষেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে পেশ করা হয়েছে স্মারকপত্র। তিনি বলেন, কম ওজনের প্যাক বিক্রি করা এসব কোম্পানির এমন কার্যকলাপের দরুন বিক্রেতা হিসেবেও তারা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন। যেসব ক্রেতা ব্যাপারটা অনুধাবন করতে পারছেন, তাদের মনে স্থানীয় সরাসরি বিক্রেতাদের ঘিরেই সৃষ্টি হচ্ছে সংশয়ের।