অনলাইন ডেস্ক : তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বেশ বড়সড় ঝটকাই বলা যায়। দল ছেড়ে নিজেদের পুরানো দল কংগ্রেসে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছাড় জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সজল বণিক, তৃণমূল যুব শাখার জেলা সভাপতি অনুপম পাল ও শিলচর শহর কমিটির সভাপতি অলক আচার্য সহ অন্যান্যরা।
মঙ্গলবার শিলচর জেলা কংগ্রেস কার্যালয় ইন্দিরা ভবনে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক পৃথ্বীরাজ শাঠের উপস্থিতিতে সজল বনিকরা আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন। সজল বণিকদের দলে স্বাগত জানিয়ে শাঠে আশা ব্যক্ত করেন তাদের “ঘর ওয়াপসি”-তে দল আরও শক্তিশালী হবে। পূর নিগমের নির্বাচনে দলের পক্ষে এর ইতিবাচক ফলাফল দেখা যাবে অবশ্যই। তবে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। যদিও জেলা কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ পাল বলেন, সজলদের দলে প্রত্যাবর্তনে শিলচরে তৃণমূল কংগ্রেসের আর কোনও অস্তিত্বই রইল না। সজল বণিক অবশ্য তৃণমূল নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। বলেন মাঝে ওই দলে গেলেও তার প্রাণ ছিল কংগ্রেসেই। এবার দলে ফিরে তিনি স্বস্তি অনুভব করছেন। দলের সংগঠনকে যাতে আরও মজবুত করে তোলা যায় এই লক্ষ্যে কাজ করবেন তিনি।
অভিজিৎ পাল দাবি করেছেন এদিন সজল বনিক, অনুপম পাল ও অলক আচার্য সহ শিলচরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের মোট ৫৮ জন তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত কৃষি বিভাগের আধিকারিক মতিউর রহমান মঝারভূঁইয়া সহ সব মিলিয়ে এদিন দলে যোগ দিয়েছেন শতাধিক লোক।
এদিকে অভিজিতের দাবির বিপরীতে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রাজেশ দেব দাবি করেন তার দল থেকে মোটেই ৫৮ জন কংগ্রেসে যোগ দেননি। সজল বণিক, অনুপম পাল ও অলক আচার্য সহ তৃণমূল কংগ্রেসের ৬-৭ জনই এদিন যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। তার কথায়, বাকি যাদের কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেসের বলে দাবি করছে, এরা আগে থেকেই ছিলেন কংগ্রেসে। এভাবে পাল্টা দাবি করলেও রাজেশ স্বীকার করেন সজল বনিক, অনুপম পাল ও অলক আচার্যদের ছেড়ে চলে যাওয়াটা অবশ্যই দলের ক্ষতি । তবে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে বলেও আশা ব্যাক্ত করেন তিনি।
এদিন সজল বনিকদের কংগ্রেসে যোগদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুই বিধায়ক মিসবাহুল ইসলাম লস্কর ও খলিল উদ্দিন মজুমদার, প্রাক্তন মন্ত্রী অজিত সিংহ, প্রাক্তন বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর,প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শরিফুজ্জামান লস্কর, সূর্যকান্ত সরকার ও সুজন দত্ত প্রমূখ।