অনলাইন ডেস্ক : দীর্ঘ ৩৬ দিন ধরে ফেরার থাকার পর অবশেষে রবিবার ভোরবেলা পুলিশের হাতে গ্রেফতার খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং। মোগা পুলিশ পঞ্জাবের মোগা শহর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে। কয়েকটি সূত্রের দাবি, অমৃতপাল নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ‘ওয়ারিশ পঞ্জাব দে’ সংগঠনের নেতা অমৃতপালের খোঁজে পঞ্জাবের বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ। অভিযোগ, অমৃতসরের কাছে অঞ্জলা থানার লকআপে বন্দি সঙ্গীকে ছাড়ানোর জন্য কয়েকশো জনকে নিয়ে ১৮ মার্চ হামলা চালান অমৃতপাল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী পপ্পলপ্রীত সিংহ। ওই ঘটনার পর থেকেই দু’জন পলাতক ছিলেন। তবে ১০ এপ্রিল পপ্পলপ্রীতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অমৃতপাল অধরাই ছিলেন। এ বার পুলিশের জালে তিনি। এদিন ভোরবেলা অমৃতপালকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর। মোগা পুলিশ এই গ্রেফতারির বিষয়ে এখনও বিস্তারিত তথ্য জানায়নি। তবে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, অমৃতপালকে অসমের ডিব্রুগড়ের জেলে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। সেখানে তাঁর অন্য সহকারীদেরও রাখা হয়েছে। অমৃতপালের দলের আরও আট সদস্যকে অসমের কারাগারে রাখা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা আইনে অমৃতপালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পঞ্জাব পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মিলিত প্রচেষ্টায় এই গ্রেফতারি সম্ভব হয়েছে বলে দাবি কয়েকটি সূত্রে। রবিবার সকালে মোগার রোদে গ্রাম থেকে গ্রেফতার হওয়া অমৃতপালকে অসমের ডিব্রুগড় জেলে পাঠাল পঞ্জাব পুলিশ। রোদে গ্রাম থেকে আগে অমৃতপালকে মোগায় নিয়ে আসা হয়। রাত থেকেই মোগায় আইজি গোয়েন্দাসহ পুলিশের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ অমৃতপালকে জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নের বিবরণ প্রস্তুত করেছিল। যদিও বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর দেননি অমৃতপাল। এর পরে, কাগজপত্র শেষ করার পরে অমৃতপালকে নিয়ে পুলিশ সড়কপথে বাটিন্ডায় পৌঁছায়। এখান থেকে তাকে ডিব্রুগড়ে পাঠানো হয়। অমৃতপালকে গ্রেফতার করার পর পঞ্জাব পুলিশ সতর্কতা জারি করেছে। রাজ্যের সব সীমান্ত জেলায় ব্লক বসানো হয়েছে। পঞ্জাবের সব ধর্মীয় স্থানের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সন্দেহজনক স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। পঞ্জাবের পুলিশ মহাপরিচালক গৌরব যাদব পঞ্জাবের জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পঞ্জাব পুলিশ বেশ কয়েকদিন প্রচারের পর অমৃতপালকে গ্রেফতার করেছে। পঞ্জাবের মানুষ শান্তি বজায় রাখুক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।